Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্ত্রীকে খুন করে তাঁর জীবনবিমার টাকায় ‘সেক্স ডল’ কিনলেন স্বামী!

Murder Case: আদালতে যখন স্ত্রীর জীবনবিমার টাকায় সেক্স ডল কেনার প্রসঙ্গ ওঠে, তখন অভিযুক্ত যুবকের মা দাবি করেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে একা থাকতে ভয় পেত। প্রতি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখত। একাকিত্ব কাটাতেই সেক্স ডল কিনেছিল তাঁর ছেলে।

স্ত্রীকে খুন করে তাঁর জীবনবিমার টাকায় 'সেক্স ডল' কিনলেন স্বামী!
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2024 | 7:36 AM

কানসাস: স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে সুখ পান না। পাশাপাশি কোনও কাজ না করা ঘিরেও স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিনই অশান্তি লেগে থাকত। শেষমেশ ভয়ঙ্কর ফন্দি আঁটলেন স্বামী। স্ত্রীকে খুন করে নিজেই খবর দিলেন পুলিশে, বললেন, স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। স্ত্রীর নামে যে জীবনবিমা ছিল, তাও পেয়ে যান ওই ব্যক্তি। আর টাকা হাতে পেতেই তিনি কী করলেন জানেন? কিনলেন সেক্স ডল। অবিকল মানুষের মতো দেখতে সেক্স ডলকে নিয়েই পূরণ করছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশি তদন্তে শেষ অবধি ফাঁস হয়ে গেল যে ওই ব্যক্তিই তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন এবং তার জীবনবিমার টাকায় কিনেছেন সেক্স ডল।

ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার কানসাসে। ২০১৯ সালে কলবি ট্রিকল নামক এক ব্যক্তি ৯১১-এ ফোন করে জানান, তাঁর স্ত্রী নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশের প্রথমে ওই ব্যক্তির উপরেই সন্দেহ হলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথাই উল্লেখ করা হলে, ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আর্মি রিজার্ভের প্রাক্তন ওই কর্মী ছাড়া পাওয়ার পরই তিনি স্ত্রীর নামে করা দুটি জীবনবিমার টাকা তুলে নেন। মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ১০ কোটিরও বেশি) পান ওই ব্যক্তি। টাকা হাতে পাওয়ার দুই দিন পরেই তিনি ২০০০ ডলার দিয়ে একটি বড় আকারের সেক্স ডল কেনেন।

বাকি টাকাও খরচ করতে বেশিদিন লাগেনি। বিভিন্ন ভিডিয়ো গেম, বাদ্য কিনে ৮ মাসের মধ্যেই সব টাকা খরচ করে ফেলেন ওই ব্যক্তি। এদিকে দুই বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ শেষ অবধি ২০২১ সালে ওই ব্যক্তিকে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে। ২০২৩ সালে তাঁকে আদালত যাবজ্জীবন সাজা দেয়।

আদালতে যখন স্ত্রীর জীবনবিমার টাকায় সেক্স ডল কেনার প্রসঙ্গ ওঠে, তখন অভিযুক্ত যুবকের মা দাবি করেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে একা থাকতে ভয় পেত। প্রতি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখত। একাকিত্ব কাটাতেই সেক্স ডল কিনেছিল তাঁর ছেলে।