AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ঢাকায় শাখা খুলছে ISI? তলে তলেই তৈরি হচ্ছে ভারত-বিরোধী জোট?

ISI Centre in Pakistan: ফাঁস হওয়া চুক্তিগুলির মধ্যে একটি চুক্তি অনুযায়ী, এখন থেকে বাংলাদেশের পাক দূতাবাসে শুরু করবে ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অফিস। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা, গোয়েন্দা প্রধানরাই সাধারণত এই ধরনের পদে আসেন। পাকিস্তান এসব শাখায় কাদের পাঠাবে?

Bangladesh: ঢাকায় শাখা খুলছে ISI? তলে তলেই তৈরি হচ্ছে ভারত-বিরোধী জোট?
শাখা খুলছে আইএসআই?Image Credit: X
| Updated on: Nov 09, 2025 | 12:44 AM
Share

ঢাকা: করাচির সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ঢাকা। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর শাখা খুলছে পড়শি দেশে বাংলাদেশে। কিন্তু উদ্দেশ্য়টা কী? একাংশের বিশেষজ্ঞ বলছেন, যে কাজ তাঁরা পাকিস্তানে বসে করে, তা এবার বাংলাদেশে বসে করবে। ভারতের আরও কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পাক সেনার পাঁচ শীর্ষকর্তার প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে শাহির সামশাদ মির্জা। পদ পর্যাদায় আসীম মুনিরের প্রায় সমান। এই সফরে দু-দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটা চুক্তি ইতিমধ্যেই গোটা দুনিয়ার সামনে প্রকাশ্যে এসেছে। হাসিনা জমানার এক সেনাকর্তা একটি বেনামি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এই সিক্রেট চুক্তির কথা ফাঁস করে দেন, এমনটাই দাবি একাংশের। কী রয়েছে তাতে?

ফাঁস হওয়া চুক্তিগুলির মধ্যে একটি চুক্তি অনুযায়ী, এখন থেকে বাংলাদেশের পাক দূতাবাসে শুরু করবে ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অফিস। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা, গোয়েন্দা প্রধানরাই সাধারণত এই ধরনের পদে আসেন। পাকিস্তান এসব শাখায় কাদের পাঠাবে? আইএসআই কর্তাদেরই পাঠাবে। অর্থাত্‍ কূটনীতিক তকমা নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে পাক গোয়েন্দারা। ফলত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ভারতের জন্য় বাড়ছে উদ্বেগ। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই অফিসাররা প্রত্যেকে কূটনৈতিক ইউনিট পাবেন। অর্থাত্‍ বাংলাদেশে যেখানে খুশি যাওয়া, যার সঙ্গে দেখা করায় অবাধ ছাড়। কোনও পরিস্থিতিতেই এদের গ্রেফতার করা যাবে না।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভোট এগিয়ে আসছে। ফেব্রুয়ারিতে একটা নির্বাচনের একটা তীব্র সম্ভবনা রয়েছে। আর এই আবহে পাকিস্তানের সঙ্গে এত মধুর সম্পর্ক, বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহেও প্রভাব ফেলবে বলেই ধারনা। পাকিস্তান-বাংলাদেশের সেতুবন্ধন যে শুধুই প্রতিরক্ষা পরিসরের মধ্যে সীমিত থাকছে এমনটা নয়। নিজেদের মধ্যে একটা বাণিজ্যিক সেতুও তৈরি করে ফেলেছে তাঁরা। করাচি বন্দরে ঢুকে পড়েছে ঢাকা। এ যেন বিনিময় প্রথা। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি করাচি বন্দরে জাহাজ যাবে। সেখান থেকে দুনিয়ার ২৫টি দেশে পণ্য যাবে। সেই করাচি বন্দর। একাত্তরের যুদ্ধে করাচি বন্দর তছনছ করেছিল ভারত। ৭ দিন চেষ্টার পর করাচির আগুন নিভিয়েছিল পাক সেনা। সেই করাচি বন্দর। ৫৪ বছর আগে আলাদা দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ । এতদিন করাচি বন্দর ব্যবহার করা নিয়ে উচ্চবাচ্যই করেনি পাকিস্তান বা বাংলাদেশ। কয়েক মাস আগে করাচি বন্দর খুলে দিতে পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ করে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। শেহবাজ শরিফ প্রশাসন সঙ্গে সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছে। নেওয়ারই কথা।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বন্দর চুক্তি আগামী দিনে ভারতের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় থ্রেট। অচিরেই হয়তো এই রুট আন্তর্জাতিক অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার অন্যতম রুট হয়ে উঠবে। এর মাধ্যমে জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র, মাদক, টাকা পৌঁছবে। আর তাই, এই বিষয়টি নিয়ে ভারতকে সতর্ক থাকতেই হবে এবং এখান থেকে যাবতীয় বিপদের সম্ভাবনা শুরুতেই চিহ্নিত করতে হবে।