Muhammad Yunus: মহা সঙ্কটে ইউনূস, এগোলেও বিপদ, পিছলেও…নিজ মুখে স্বীকার করলেন সবটা
Bangladesh: যে বিষয় নিয়ে এত টানাপোড়েন, সেই নির্বাচন নিয়ে কী মত ইউনূসের? উপদেষ্টা সূত্রে দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

ঢাকা: অদ্ভুত দোলাচলে পড়েছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দেশ সামলানোর। এবার তিনিই পদ ছাড়তে চাইছেন। নেপথ্যের কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে চাপ। বাংলাদেশে কি আদৌ নির্বাচন করাতে চান ইউনূস? কী বলছেন তিনি?
হাসিনা সরকারের পতনের পর তৈরি হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই সরকার অস্থায়ী। দেশের সংস্কার করেই নির্বাচনের আয়োজন করার কথা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের। কিন্তু সেই নির্বাচন কবে হবে, তা কেউ জানে না। অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, সুষ্ঠভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন। এদিকে, বিএনপি, জামাত সহ একাধিক দল ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে নির্বাচনের জন্য। দিন দুয়েক আগে, সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আর এই নিয়েই ক্ষোভ-উষ্মা ইউনূসের।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে দীর্ঘক্ষণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন মহম্মদ ইউনূস। দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে কথা হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্রের দাবি, ঢাকায় প্রতিদিন সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির ঐকমত না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং কাজ করতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। সূত্রের দাবি, বৈঠকে ইউনূস পদত্যাগ করার এবং আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার প্রস্তাব দেন।
তবে মূল যে বিষয় নিয়ে এত টানাপোড়েন, সেই নির্বাচন নিয়ে কী মত ইউনূসের? উপদেষ্টা সূত্রে দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তার বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে, ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা পুলিশ কতটা আটকাতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ইউনূসের আরও বক্তব্য, ভালভাবে যদি নির্বাচন না করাতে পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ তাঁকেই দায়ী করবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসহযোগিতা নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন ইউনূস। এমনকী, ভাষণের খসড়াও লিখে ফেলেছিলেন। পরে যদিও এই বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

