AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Muhammad Yunus: জল্পনায় ইতি, ইস্তফা দিচ্ছেন না মহম্মদ ইউনূস!

ইউনূসের পরিবর্তে কে প্রধান উপদেষ্টার পদে বসবেন, বাংলাদেশে কি এবার সেনার শাসন জারি হবে, এই প্রশ্ন নিয়ে যখন চর্চা চারিদিকে, সেখানেই আজ যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন  ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

Muhammad Yunus: জল্পনায় ইতি, ইস্তফা দিচ্ছেন না মহম্মদ ইউনূস!
মহম্মদ ইউনূসImage Credit: PTI
| Updated on: May 23, 2025 | 2:25 PM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না মহম্মদ ইউনূস। যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে এ কথা জানালেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তাঁর প্রয়োজন আছে।

বাংলাদেশ জুড়ে জোর জল্পনা, মহম্মদ ইউনূস কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের পদ ছাড়তে চলেছেন? বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই উপদেষ্টাদের বৈঠকে এই কথা বলেছিলেন। পরে নাহিদ ইসলাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনিও বেরিয়ে এসে বলেন যে ইউনূস ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন।

ইউনূসের পরিবর্তে কে প্রধান উপদেষ্টার পদে বসবেন, বাংলাদেশে কি এবার সেনার শাসন জারি হবে, এই প্রশ্ন নিয়ে যখন চর্চা চারিদিকে, সেখানেই আজ যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন  ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফেসবুক পোস্ট করে তিনি জানালেন, মহম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না।

তিনি লিখেছেন, “অধ্যাপক ড. মহম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।”

ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যে রাজনৈতিক অনাস্থা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়েও লিখেছেন ফয়েজ আহমদ। তিনি লিখেছেন, “সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”

রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনও ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।”

সেনাবাহিনী প্রধান ডিসেম্বরের মধ্য়ে নির্বাচন করানোর বার্তা দিয়েছেন। তারপরই এত কাণ্ড। এ দিনের পোস্টে সেনাকেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনও সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তেমনই, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।”

পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন যে সরকার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে আগামী এপ্রিল-মে’র মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা করবে। তার আগে সমস্ত যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে, তৈরি করতে হবে জুলাই সনদ।