AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sheikh Hasina: হাসিনাকে দেশছাড়া করতে কীভাবে পাকিস্তান কলকাঠি নেড়েছিল, বলে দিল জঙ্গিরা!

Bangladesh: নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া, যার মাথায় হাফিজ সইদ বসে, সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরাই স্বীকার করে নিল বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের জন্য যে আন্দোলন ছিল, তাতে হাত ছিল তাদের।

Sheikh Hasina: হাসিনাকে দেশছাড়া করতে কীভাবে পাকিস্তান কলকাঠি নেড়েছিল, বলে দিল জঙ্গিরা!
শেখ হাসিনার উৎখাতের পিছনে পাকিস্তানের হাত?Image Credit: TV9 বাংলা
| Updated on: Jun 02, 2025 | 11:41 AM
Share

ঢাকা: পাকিস্তান প্রীতি বেড়েছে বাংলাদেশের। সেই পাকিস্তানই যে তলে তলে বাংলাদেশের কত ক্ষতি করছে, তার হিসাবও নেই। এবার পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীই স্বীকার করে নিল যে গত বছর কী করেছে বাংলাদেশে। নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া, যার মাথায় হাফিজ সইদ বসে, সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরাই স্বীকার করে নিল বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের জন্য যে আন্দোলন ছিল, তাতে হাত ছিল তাদের।

পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খানে দাঁড়িয়ে জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা তথা রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষিত জঙ্গি সইফুল্লা কসুরি ও মুজাম্মিল হাশমি বলেন, “আমি চার বছরের ছিলাম যখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তান দ্বিখণ্ডিত হয়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন যে দুই দেশ তত্ব তিনি খলিজে (বঙ্গোপসাগর) ডুবিয়ে দিয়েছেন। ১০ মে আমরা ১৯৭১ সালের বদলা নিয়েছি।”

কসুরি বক্তব্য রাখতে গিয়েই স্বীকার করে নেন যে গত ৭ মে ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে লস্কর-ই-তৈবার কম্যান্ডার মুদাস্সরের দেহ খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমায় ওঁর (মুদাস্সর) শেষকৃত্যেও যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। ওইদিন আমি খুব কেঁদেছিলাম। আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করছি জিহাদের জন্য। আমরা মরতে ভয় পাই না।”

অন্যদিকে, আরেক জঙ্গি মুজাম্মিল হাশমি বলেন, “গত বছরও আমরা তোমাদের বাংলাদেশে হারিয়েছি।”

তাদের এই কথাতেই স্পষ্ট যে বাংলাদেশে গত বছর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র গণ আন্দোলন ও বিক্ষোভের পিছনে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীরও মদত ছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্য়ে সংঘাত শুরু হয়। ওই জঙ্গি হামলার যোগ্য জবাব দিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারত। এরপর দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, যা ১০ মে সংঘর্ষ বিরতির পর থামে।