Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ভ্যাকসিন না নিলে ভারত বা আমেরিকায় চলে যান’, ফিলিপিন্স প্রেসিডেন্টের বার্তায় বিতর্কের ঝড়

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো ডুটার্টে বলেন, যারা ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না, তাদের আইভারমেকটিন, যা পশুদের দেহ থেকে পরজীবী তাড়াতে ব্যবহার করা হয়, তা দেওয়া হবে।

'ভ্যাকসিন না নিলে ভারত বা আমেরিকায় চলে যান', ফিলিপিন্স প্রেসিডেন্টের বার্তায় বিতর্কের ঝড়
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 10:38 AM

ফিলিপিন্স: করোনা টিকা নিতে যারা ইচ্ছুক নন, তাঁদের জন্য কড়া বার্তা দিলেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো ডুটার্টে (Rodrigo Duterte)। যাঁরা করোনা টিকা নেবেন না, তাঁদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেন তিনি। পাশাপাশি যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন না, তাঁরা ভারত বা আমেরিকার মতো কোনও দেশে চলে যেতে পারেন বলেও জানান। তাঁর এই মন্তব্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

করোনা সংক্রমণে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবিত দেশগুলির মধ্যে ফিলিপিন্স অন্যতম। সংক্রমণের কারণে এখনও অবধি সে দেশে ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় টিকাকরণই। কিন্তু একাংশের মধ্যে টিকাকরণ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হওয়ায় তারা টিকা নিতে চাইছেন না। সম্প্রতি দেশবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি একটি টেলিভিশন বার্তায় তিনি বলেন, “আমাকে ভুল ভাববেন না। দেশ অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। যদি কেউ ভ্যাকসিন নিতে না চান, তাদের গ্রেফতার করা হবে এবং তাদের জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আপনাদের জন্য সকলকেই ভুগতে হচ্ছে।”

যারা টিকা নিতে চাইছেন না, তাদের কারণে বাকি সাধারণ মানুষও করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়ে তিনি আইভারমেকটিন, যা পশুদের দেহ থেকে পরজীবী তাড়াতে ব্যবহার করা হয়, তা প্রয়োগ করার হুমকি দেন। তিনি বলেন, “সমস্ত ফিলিপিন্সবাসী শুনুন, আমায় বাধ্য করাবেন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। যদি ভ্যাকসিন না নিতে হয়, তবে ফিলিপিন্স ছেড়ে চলে যান। ভারত বা আমেরিকার কোথাও চলে যান। যদি এখানে থাকতে হয়, তবে ভ্যাকসিন নিতেই হবে।”

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। কেন তিনি ভারত বা আমেরিকায় চলে যাওয়ার কথা বললেন, সে বিষয়েও কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন ভারত তথা গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত, সেই পরিস্থিতিতে এইধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক বলেই মনে করছেন কূটনৈতিকরা। যদিও ভারত বা আমেরিকার তরফে এখনও অবধি এর কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয়ে ভারতকে টপকে গিয়েছে বাংলাদেশ, দাবি হাসিনার মন্ত্রীর