Russia Claims Ukraine making Nuclear Weapon: চেরোনোবিলেই চুপিচুপি ‘ডার্টি বম্ব’ বানাচ্ছিল ইউক্রেন! বিস্ফোরক দাবি রাশিয়ার
Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়ার সংবাদসংস্থা টিএএসএস, আরআইএ ও ইন্টারফ্যাক্স নামক সংবাদসংস্খার তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার এক তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধি দাবি করেছেন যে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া চেরোনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই ইউক্রেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছিল।
মস্কো: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হওয়ার পর থেকেই পরমাণু হামলার (Nuclear Attack) আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। ইউক্রেন সহ বিশ্বের একাধিক দেশই রাশিয়ার দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলেছিল। এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধেই পরমাণু বোমা বানানোর অভিযোগ তুলল রাশিয়া (Russia)। সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইউক্রেন পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছিল। তাও আবার বিশ্বের সবথেকে সক্রিয় তেজস্ক্রিয় এলাকা চেরোনোবিলে (Chernobyl)। যদিও রাশিয়ার তরফে তাদের এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি। সম্প্রতিই ইউক্রেনের জ়াপরঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা ও দখল করার অভিযোগ ওঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যুদ্ধের একাদশ দিনে এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনল রাশিয়াও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক সূত্র উল্লেখ করে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলির তরফে দাবি করা হয় যে,ইউক্রেন প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক ‘ডার্টি বম্ব’, যা এক প্রকার পারমাণবিক অস্ত্র, তা প্রায় তৈরিই করে ফেলেছিল। চেরোনোবিল পরমাণু কেন্দ্রেই এই বোমা তৈরি করছিল ইউক্রেন।
রাশিয়ার সংবাদসংস্থা টিএএসএস, আরআইএ ও ইন্টারফ্যাক্স নামক সংবাদসংস্খার তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার এক তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধি দাবি করেছেন যে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া চেরোনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই ইউক্রেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছিল। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চেরেনোবিলের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে পরীক্ষা চলাকালীনই বিস্ফোরণ হয়েছিল। ২০০০ সালে ওই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই প্রথম দিনই চেরোনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের দখল নেয় রুশ সেনা।
তবে ইউক্রেনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, তারা পরমাণু ক্লাবে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। ১৯৯৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরই তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এদিকে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণা করার কারণ হিসাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি দমনের কথা বলেছিলেন। একইসঙ্গে পশ্চিমী দুনিয়া ও ন্যাটোর সঙ্গে যাতে ইউক্রেন যাতে হাত না মেলায়, সেই কারণও দর্শান পুতিন। সামরিক অভিযান শুরুর আগেও পুতিন বলেছিলেন ইউক্রেন সোভিয়েতের পরমাণু অস্ত্র তৈরির যাবতীয় ফর্মুলা ব্যবহার করে নিজেরা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: সামরিক অভিযান কি শুধুই অজুহাত? ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রেই নজর রাশিয়ার