সিওল: দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। মঙ্গলবার থেকেই জারি হল মার্শাল ল। বিরোধীরা সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয় সময় রাত ১০ টায় এই ঘোষণা করেন তিনি। আর স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি হয় জরুরি অবস্থা।
এদিন জরুরি অবস্থা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তি এবং দেশ বিরোধী শক্তির হাত থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতেই মার্শাল ল জারি করা হচ্ছে।”
জরুরি অবস্থায় সেদেশে কী কী করা যাবে না?
জরুরি অবস্থায় কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নেওয়া যাবে না। সেদেশে সংসদ, স্থানীয় কাউন্সিল বন্ধ থাকবে। কোনও রাজনৈতিক মিছিল কিংবা প্রতিবাদ মিছিল করা যাবে না।
মিডিয়ার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, রেডিয়োর উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকব। কোনও ব্যক্তি আন্দোলনে নামতে পারবেন না কিংবা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করতে পারবেন না। হিংসা ছড়াবে এমন কোনও বক্তব্য রাখা যাবে না।
ভুল তথ্য কিংবা ভুয়ো তথ্য ছড়ানো যাবে না। সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে অংশ নেওয়া যাবে না। এগুলি করলে কঠোর শাস্তি হবে।
চিকিৎসক-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকরাও রয়েছেন। কেউ কাজে যোগ না দিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে বলেন, মার্শাল ল লাগুর ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সামান্য অসুবিধা হবে।
কোনও পরোয়ানা ছাড়াই যে কোনও ব্যক্তির তল্লাশি নেওয়া হতে পারে। মার্শাল ল ভঙ্গ করলে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউন।