Public Execution: খুনে অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল তালিবান, দাঁড়িয়ে দেখল ২ হাজার লোক
Taliban: সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া ব্যক্তির নাম আজমল। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ জনকে খুন করার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতেই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ হাজার লোক আজমলের মৃত্যুদণ্ডের সাক্ষী ছিল।

কাবুল: খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এক ব্যক্তিকে। শাস্তি হিসাবে তাকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল তলিবান। প্রকাশ্য রাস্তায় প্রায় হাজার দুয়েক লোকের সামনে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০২১ ,সালের অগস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা যায় তালিবানের হাতে। তার পর থেকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। আফগানিস্তারের লাঘম্যান প্রদেশের সুলতান গাজি বাবা শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তালিবানি রাজত্বে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা খুব নতুন কিছু নয়। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানের প্রথম দফার শাসনকালে ভূরি ভূরি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া ব্যক্তির নাম আজমল। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ জনকে খুন করার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতেই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ হাজার লোক আজমলের মৃত্যুদণ্ডের সাক্ষী ছিল।
এ বিষয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপি-কে বলেছেন, “মৃতদের পরিবার ক্ষমা না করায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। গুলি করে মারা হয়েছে দোষীকে। খুব ভুল না গুনলে ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এর পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ নিয়ে চলে যাওয়া হয়।” একে-৪৭ বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে শুধু মৃত্যুদণ্ড নয়। পরকীয়া, চুরি, মদ্যপানের মতো ঘটনায় দোষীদের প্রকাশ্য শাস্তি দেয় তালিবান। জনসাধারণের মনে ভয়ের সঞ্চার করতেই তালিবান এই কাজ করে।
