Russia-Ukraine Conflict: অপেক্ষা শুধু যুদ্ধ থামার, মারিউপোলকে ফের গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন ইউক্রেনের ধনীতম ব্যক্তি
Russia-Ukraine Conflict: রিনাতের সংস্থা মেটিভেস্ট কম্পানিই ইউক্রেনের বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারক সংস্থা। তবে যুদ্ধের জেরে আপাতত বিশ্বের কোথাও সেই ইস্পাত সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কিয়েভ: প্রায় দুই মাস হতে চলল, এখনও থামেনি যুদ্ধ। রাশিয়ার লাগাতার হামলা ও মিসাইল বর্ষণের জেরে ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ একাধিক শহর। কবে যুদ্ধ থামবে, তা জানা না গেলেও, স্বপ্নের শহরকে ফের একবার গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেন ইউক্রেনের ধনীতম ব্যক্তি। ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলেই দুটি ইস্পাতের কারখানা রয়েছে সে দেশের ধনীতম ব্যক্তি রিনাত আখমেটোভের। যুদ্ধ থামলেই তিনি নিজের খরচায় এই শহরকে সাজিয়ে তুলবেন বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে রিনাত যে সাম্রাজ্য তৈরি করেছিলেন, তা বিগত আট বছরে অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের পূর্বে লাগাতার সংঘর্ষের জেরে। বর্তমানে রাশিয়াও সামরিক অভিযানের নামে বিগত সাত সপ্তাহ ধরে যে লাগাতার গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে, তার জেরে প্রায় ধ্বংসস্তূপেই পরিণত হয়েছে মারিউপোল। তবে বাণিজ্যের মতোই দেশের সৈন্যদের উপরও হাল ছাড়তে নারাজ রিনাত। তাঁর দাবি, ইউক্রেনের বীর ও সাহসী যোদ্ধারা অবশ্যই আজ়োভ সাগরের তীরে অবস্থিত এই শহরটিকে রক্ষা করবে।
রিনাতের সংস্থা মেটিভেস্ট কম্পানিই ইউক্রেনের বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারক সংস্থা। তবে যুদ্ধের জেরে আপাতত বিশ্বের কোথাও সেই ইস্পাত সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর জেরে সংস্থা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেও, যাবতীয় ঋণ পরিশোধ করে দেওয়ার চুক্তি করেছেন রিনাত আখমেটোভের। এরপরই তিনি মারিউপোলকে নিজের খরচে পুনর্গঠন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে তিনি লিখিত জবাবে বলেন, “মারিউপোলে যা হয়েছে, তা গোটা বিশ্বের কাছেই দুঃখজনক ঘটনা। একইসঙ্গে এটি সাহসিকতার উদাহরণও। আমার কাছে মারিউপোল বরাবর ইউক্রেনের শহর হিসাবেই থাকবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের বীর যোদ্ধারা এই শহরকে রুশ আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পারবেন। আমি বুঝতে পারছি এই লড়াই তাদের কাছে কতটা কঠিন ও কষ্টকর।”
তিনি জানান, নিয়মিতই মেটিভেস্টের ম্যানেজারদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন, যারা আজ়োস্তল ও ইলিচ প্ল্যান্টের দায়িত্বে রয়েছেন। শুক্রবারই মেটিভেস্ট সংস্থার তরফে জানানো হয়, রাশিয়া মারিউপোল অধিগ্রহণ করলে তারা সেখানে কাজ করবে না। মারিউপোল দখলের পর ইউক্রেনের ইস্পাত উৎপাদনও এক তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে।