AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Donald Trump on Tariff: ট্রাম্পের শুল্কের খাঁড়া থেকে ৯০ দিনের ‘মুক্তি’, চিনের শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ!

US Tariff War: হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আপাতত সমস্ত দেশকে ট্যারিফ বা শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখা হচ্ছে। এই সময়ে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ রাখা হচ্ছে সকলের জন্য।

Donald Trump on Tariff: ট্রাম্পের শুল্কের খাঁড়া থেকে ৯০ দিনের 'মুক্তি', চিনের শুল্ক বাড়ল ১২৫ শতাংশ!
ট্যারিফে স্থগিতাদেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।Image Credit: PTI
| Updated on: Apr 10, 2025 | 11:48 AM
Share

ওয়াশিংটন: শুল্ক নিয়ে মত বদলাচ্ছেন ট্রাম্প? বুধবার, ৯ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল মার্কিন ট্যারিফের। বিভিন্ন দেশের ঘাড়ে বিভিন্ন হারে শুল্ক চাপিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই হারে শুল্ক দিয়েই পণ্য রফতানি করতে হবে আমেরিকায়। তবে শুল্কের খাঁড়া নামার আগেই স্বস্তি দিলেন খোদ ট্রাম্প। চিন বাদে বাকি সব দেশ যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।

হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আপাতত সমস্ত দেশকে ট্যারিফ বা শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখা হচ্ছে। এই সময়ে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ রাখা হচ্ছে সকলের জন্য।

তবে চিন এই সুবিধা পাবে না। বরং তাদের উপরে শুল্কের বোঝা আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হল। অবিলম্বেই তা কার্যকর হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বাকি দেশ হঠকারি সিদ্ধান্ত না নিলেও, চিনের উপরে শুল্ক বসাতেই শি জিনপিং পাল্টা আমেরিকার উপরে শুল্ক বসায়। আমেরিকা শুল্কের ঘোষণা করতেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল চিন। আমেরিকা যখন ৩৪ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা করে তখন পাল্টা চিনও পাল্টা শুল্ক বাড়ায়।  চিন আমেরিকার উপরে শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে। চুপ থাকেননি ট্রাম্পও। চিনের উপরে শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করে দেন তিনি। এখন যখন তিনি বাকি দেশকে শুল্ক থেকে আপাত রেহাই দিচ্ছেন, সেই সময়ও চিনের উপরে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করে দিলেন।

নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন, “আশা করি ভবিষ্যতে কোনও এক জায়গায় গিয়ে চিন বুঝতে পারবে যে আমেরিকা ও অন্যান্য দেশকে শোষণ করা গ্রহণযোগ্য নয়।”

ট্রাম্পের দাবি, শুল্ক ঘোষণার পর ৭৫টিরও বেশি দেশ আমেরিকার সঙ্গে দর কষাকষি, চুক্তি করতে চেয়েছে। আপাতত ৯০ দিনের ছাড় দিচ্ছেন তিনি চিন বাদে বাকি সব দেশকে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতের তরফে আমেরিকার সঙ্গে ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের উপরে ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তবে দ্বিপাক্ষিক কোনও বাণিজ্যিক চুক্তি হলে, এই শুল্কে ছাড় পাওয়া যেতে পারে বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।