ইরানের উপরে আমেরিকাও হামলা করবে কি না, দু’সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প! এই ১৪ দিন কী দেখবেন?
US on Iran-Israel Conflict: মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা উদ্ধৃত করেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, "ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে বা নাও হতে পারে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি সিদ্ধান্ত নেব।"

ওয়াশিংটন: ইরানের উপরে কি হামলা করবে আমেরিকা? ইজরায়েলের পাশাপাশি আমেরিকাও এবার আক্রমণ শানাবে মধ্য প্রাচ্যের প্রাণভোমরার উপরে? এই সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেবেন যে ইরানের উপরে সামরিক অভিযান চালানো হবে কি না।
ইরান-ইজরায়েলের সংঘাতে আমেরিকা নাক গলাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও, আকাশপথে ইজরায়েলকে জ্বালানি দিয়ে সাহায্য, পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে। ইরানও পাল্টা হুমকি দিয়েছে, আমেরিকা সংঘাতের মাঝে জড়ালে তার ফল খুব খারাপ হবে। তবে সেই সব হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কা করছেন না ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা উদ্ধৃত করেই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, “ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে বা নাও হতে পারে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি সিদ্ধান্ত নেব।”
প্রেস সেক্রেটারি জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় রাজি। তবে তাঁর প্রধান লক্ষ্য ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে প্রতিহত করাই। তেহরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রোগ্রাম বন্ধ করে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির উদ্যোগ থামায়, তবেই ট্রাম্প কথা বলবেন। তবে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করতেও পিছপা হবেন না ট্রাম্প, এ কথাও জানিয়ে দেন।
এদিকে সূত্রের রিপোর্ট, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোপনে ইরানের উপরে ইজরায়েলের হামলার পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিলেন। তবে ফাইনাল অর্ডার দেননি। ইরান পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে কি না, তা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছেন ট্রাম্প। ইরান একটা ভুল পদক্ষেপ করলেই আমেরিকা হামলা চালাবে।

