Russia-USA Talk on Ukraine Situation: মুখোমুখি বৈঠকে বসতে রাজি বাইডেন-পুতিন, তবে শর্ত একটাই…
Russia-Ukraine Conflict: সোমবার ফ্রান্সের তরফেই জানানো হয় যে, প্রধান দুই বিরোধী শক্তি মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। তবে মস্কো যদি ইউক্রেনের উপরে হামলা না চালায়, তবেই সেই বৈঠক সম্ভব হবে।
প্যারিস: ইউক্রেনের (Ukraine) উপরে হামলা চালাক রাশিয়া(Russia), তা চায় না আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ একাধিক শক্তিশালী পশ্চিমী দেশগুলি। তবে রাশিয়া কতটা কথা শুনবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবারই ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। রাশিয়া যেকোনও মুহূর্তেই ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে গতকালই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)-র সঙ্গে কথা বলেন। ঘণ্টা দুয়েকের ওই ফোনালাপে রাশিয়া যুদ্ধ বিরতির জন্য রাজি হয়েছে বলেই জানানো হয়েছিল। এরপরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden)-ও পুতিনের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ দেখান। এদিন সকালে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় বসার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, তবে এর জন্য একটি শর্তও রাখা হয়েছে। যদি সেই শর্ত পূরণ করা হয়, তবেই দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা বৈঠকে বসবেন।
সোমবার ফ্রান্সের তরফেই জানানো হয় যে, প্রধান দুই বিরোধী শক্তি মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। তবে মস্কো যদি ইউক্রেনের উপরে হামলা না চালায়, তবেই সেই বৈঠক সম্ভব হবে। অন্যথা পরিস্থিতি যেভাবে জটিল আকার নিচ্ছে, তাই-ই জারি থাকবে। জানা গিয়েছে, গতকালই যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথাল বলেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ, তখনই এই বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানানো হয়েছে ফ্রান্সের বিবৃতিতে। আগামী বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করা হবে।
মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি জেন পেনস্কি বলেন, “আমোরিকা কূটনৈতিক আলোচনাতেই টিকে থাকতে চায়, যতক্ষণ না রাশিয়া দখল বা আক্রমণ শুরু করছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন… যদি না এরমধ্যে আক্রমণ হয়”। তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের উপরে আক্রমণ চালানোর জন্য পূর্ণ মাত্রায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুদ্ধের বদলে রাশিয়া শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার পথ নিতে পারত। আমরাও সেই পথ বেছে নিতেই আগ্রহী।”
উল্লেখ্য, গতকালই মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয় যে, রাশিয়ার কম্যান্ডারদের ইউক্রেনে জোর করে ঢোকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তেই তারা হামলা চালাতে পারে। ইতিমধ্যেই তারা কোন পথে, কোথায় আক্রমণ করবে, তার ছকও কষে ফেলা হয়েছে। রবিবার সকালেই তারা বেলারুসে প্রায় ৩০ হাজার সেনা নিয়ে সামরিক মহড়া চালায়। রুশ সেনা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিই অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।