US President’s Warning to Russia: সরাসরি যুদ্ধে ‘না’! রাশিয়াকে ‘চরম মূল্য চোকানো’র হুঁশিয়ারি বাইডেনের
US President's Warning to Russia: রাশিয়ার অনুরোধেই শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই বৈঠকে রাশিয়া অভিযোগ করে যে, ইউক্রেন দেশের ভিতরেই জৈব অস্ত্র তৈরি করছে।
ওয়াশিংটন: ১৬ দিন পার হয়ে গিয়েছে, যুদ্ধ থামার কোনও নামই নেই। ইউক্রেন(Ukraine)-র উপর ক্রমশ আঘাত হানছে রাশিয়া (Russia)। এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার সতর্কবার্তা দেওয়া হল রাশিয়ার তরফ থেকে। শুক্রবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) জানান, যদি ইউক্রেনে রাশিয়া কেমিক্যাল অস্ত্র (Chemical Weapon) ব্যবহার করে, তবে তাদের ভারী মূল্য চোকাতে হবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার জন্য মস্কো যাতে উসকানি না দেয়, তা নিয়েও সতর্ক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া দাবি করে, ইউক্রেন ও আমেরিকা জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে। এরই জবাবে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন হুঁশিয়ারি দেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “আমি গোয়েন্দাবিভাগের কথা বলছি না, কিন্তু রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে তাদের ভারী মূল্য চোকাতে হবে”। হুঁশিয়ারির পাশাপাশি তিনি নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্যে ইতি টানা হবে।
এদিকে, রাশিয়ার অনুরোধেই শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই বৈঠকে রাশিয়া অভিযোগ করে যে, ইউক্রেন দেশের ভিতরেই জৈব অস্ত্র তৈরি করছে। তবে এই দাবি মানতে নারাজ ইউক্রেন, আমেরিকা সহ একাধিক দেশ।
রাশিয়া ইউক্রেনের উপরে হামলা শুরুর পর থেকেই আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে। একে একে আর্থিক অনুদান, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করছে মার্কিন মুলুক। পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থাও, যাদের মধ্যে অধিকাংশই আমেরিকান, তারাও রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়া থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে।
যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্যের জন্য আমেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমী দেশ কয়েক লক্ষ ডলারের অস্ত্র-শস্ত্র পাঠিয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যও ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে। তবে যুদ্ধে সরাসরি জড়াতে চায় না আমেরিকা বা ন্যাটো বাহিনী, একথাও সাফভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে যথেষ্ট মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি।
শুক্রবারও রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে না জড়ানোর সিদ্ধান্তের ব্য়াখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন, “আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়াই করব না। ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে, তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে পারে, যা আমরা সবাই-ই চাই যেন না হয়।”