‘বন্ধু’ ভারতের সাহায্যেই রোখা হবে ড্রাগনকে! শেষবেলায় কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

কার্যত 'বন্ধু' দেশগুলিকে ট্রাম্প আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, তিনি চিন বিরোধীতায় সরব ছিলেন, আছেন। যার প্রভাব পড়তে পারে বাইডেন আমলের কূটনীতিতেও।

'বন্ধু' ভারতের সাহায্যেই রোখা হবে ড্রাগনকে! শেষবেলায় কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 13, 2021 | 4:43 PM

ওয়াশিংটন: ট্রাম্প আমলে বিশ্বের বৃহৎ শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে দুই দেশ। আমেরিকা (USA) ও চিন (China)। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে ট্রাম্পের ৪ বছরেই। পরিস্থিতি এমনই, সেই সংঘাতকে বাণিজ্য যুদ্ধেরও তকমা দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে হোয়াইট হাউসে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তবে বিদায়কালে ট্রাম্প যে চিন বিরোধিতা থেকে একচুলও সরে যাননি তার প্রমাণ দিচ্ছে একের পর এক হোয়াইট হাউসের বিবৃতি। কয়েক দিন আগেই হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭০ পাতার চিন বিরোধিতার বিবৃতি। এবার মসনদ থেকে সরে যাওয়ার ৮ দিন আগে কার্যত চিন বিরোধিতা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন একটি বিবৃতি জারি করেছেন। যার নাম ‘ইউনাইটেড স্টেটস স্ট্র্যাটেজিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর দ্য ইন্দো প্যাসেফিক।’ যেখানে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিগত ৩ বছরে কীভাবে আমেরিকা কাজ করেছে সেই পরিকল্পনা লেখা রয়েছে। বিবৃতিটিতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সই করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর লাগাতার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ড্রাগনের ডানা ছাঁটতে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে হোয়াইট হাউস।

চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। এদিনও রবার্ট ও’ব্রায়েন জানান, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বেজিং। বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্বের সামনে প্রশ্নচিহ্ন দাঁড় করাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। এই অভিযোগও করেন মার্কিন উপদেষ্টা। আর তার জন্যই ভারত-সহ বিভিন্ন ‘বন্ধু’ দেশের সঙ্গে মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয় গড়তে কাজ করছে আমেরিকা। প্রসঙ্গত, চিনের আগ্রাসন রুখতে জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে কোয়াড গড়েছে আমেরিকা।

আরও পড়ুন: নারাজ পেন্স, ট্রাম্পকে হঠাতে বুধবারই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব হাউসে

মঙ্গলবারই খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে কিউবাকে সন্ত্রাসবাদী তালিকায় যুক্ত করেছে আমেরিকা। আর বুধবারই সার্টিফিকেট পেল উত্তর কোরিয়া। বিবৃতিতে বলা হল, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই। জো বাইডেন আগেই জানিয়েছেন, ট্রাম্প আমলের বিদেশনীতির পরিবর্তন আসবে তাঁর আমলে। বিশেষজ্ঞরা এ-ও জানিয়েছেন, বিদেশনীতি সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে বাইডেনের কাছে। কিন্তু চিন নিয়ে কিছুটা নরম হবেন তিনি, এই আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কার্যত ‘বন্ধু’ দেশগুলিকে ট্রাম্প আরও একবার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, তিনি চিন বিরোধীতায় সরব ছিলেন, আছেন। যার প্রভাব পড়তে পারে বাইডেন আমলের কূটনীতিতেও।