US University: প্রাক্তন অধ্যাপকের হুমকি, আতঙ্কে অনলাইন ক্লাস শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের
UCLA: মারিস জানিয়েছেন, "আমরা প্রকাশিত নথিতে যে পরিমাণ হিংসার সম্ভাবনার কথার উল্লেখ পেয়েছি তাতে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এখনও সংযোগ তৈরি করিনি

লস অ্যাঞ্জেলেস: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আতঙ্কের পরিবেশ। মঙ্গলবার থেকেই ইউনিভার্সটি অব ক্যালিফর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের প্রাক্তন অধ্যাপক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণ গুলিচালনার হুমকি দিয়েছে। অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকের নাম ম্যাথু হ্যারিস। লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউএলসিএ বিশ্ববিদ্যালয়ে (ULCA University) ৪৪ হাজার ৫০০ জন ছাত্রকে ওই প্রাক্তন অধ্যাপকের হুমকির পর অনলাইনে ক্লাস হওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেটে ওই ভিডিয়ো দেওয়ার পাশাপাশি ৮০০ পাতার একটি ইস্তেহারও প্রকাশ করেছেন হ্যারিস। ওই প্রাক্তন অধ্যাপককে ইতিমধ্যেই কলেরাডোর বোল্ডার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান মারিস হেরল্ড। তিনি বলেন, “প্রকাশিত ইস্তেহার পর্যালোচন করে আমার হিংসার অনেক ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। বোল্ডারে হত্যা, মৃত্যু, গুলিচালনা, বোমা বিস্ফোরণের কথা সেখানে উল্লেখ রয়েছে।”
মারিস জানিয়েছেন, “আমরা প্রকাশিত নথিতে যে পরিমাণ হিংসার সম্ভাবনার কথার উল্লেখ পেয়েছি তাতে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এখনও সংযোগ তৈরি করিনি, এবং সেই কারণেই আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় সঙ্গীরাও এই বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি এটা খুবই হিংস্র, খুব বিরক্তিকর” জানিয়েছেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক। ইউএলসিএ ছাত্রদের প্রকাশিত ডেইলি ব্রুইন নামক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অনেকেই ওই হ্যারিসের কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে গত বছরই ছাত্রদের অশ্লীল ভিডিয়ো পাঠানোর অভিযোগ প্রশাসনিক বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। আমেরিকাতে স্কুল, শপিং মল, চার্চে ভিড়ের উদ্দেশে গুলি চালনার ঘটনায় অনেক সময় শোনা যায়। তাই এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকে। কোনও মার্কিন সরকারই এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে পারেনি। মার্কিন জনগণের অধিকাংশই কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিধির পক্ষে থাকা সত্ত্বেও, সরকারের পক্ষ থেকে থাকা নিয়মে অস্ত্র রাখার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেই সংবিধান এখনও সংশোধন হয়নি। বন্দুকের কারণে ২০২১ সালে ৪৪ হাজার জন মারা গিয়েছেন। এরমধ্যেই আত্মহত্যার ঘটনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন : Bangladesh News : রক্তে ভেসে যাচ্ছে বৌদ্ধ বিহার, ডাকাতি করতে গিয়ে কুপিয়ে খুন ধর্মগুরুকে!
