Putin: ৯৭ বছর বয়সে প্রয়াত ভ্লাদিমির পুতিনের ‘গোপন মা’ ভেরা পুতিনা

Putin’s secret mother Vera Putina: চলে গেলেন ভেরা পুতিনা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের 'গোপন মা'। বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ছেলে তাঁর উপর অভিমান করে আছে, ক্ষমা করবে না বলে মনে করতেন তিনি।

Putin: ৯৭ বছর বয়সে প্রয়াত ভ্লাদিমির পুতিনের 'গোপন মা' ভেরা পুতিনা
ছেলে তাঁকে ক্ষমা করতে পারেননি বলে মনে করতেন ভেরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2023 | 7:26 AM

মস্কো: চলে গেলেন ভেরা পুতিনা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘গোপন মা’। গত কয়েক দশক ধরে এই জর্জিয়ান মহিলা দাবি করতেন, তিনিই রুশ প্রেসিডেন্টের আসল মা। কিন্তু, পুতিন কখনও এই দাবি মেনে নেননি। বরাবর অস্বীকার করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রয়াণ ঘটেছে সেই ভেরা পুতিনার। বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

ভেরা দাবি করেছিলেন, একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল তাঁর। যার ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন তিনি এবং পুতিনের জন্ম হয়। ছেলেকে আদর করে ‘ভোভা’ বলে ডাকতেন তিনি। কিন্তু, সৎ বাবা জর্জির কাছ থেকে আদর পায়নি ভোভা। বরং দুর্ব্যবহার এবং অবহেলার শিকার হয়েছিল। সৎ বাবা মারধর না করলেও, প্রবল শীতে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়ার মতো কঠিন শাস্তি দিতে পিছপা হতেন না।

ভেরা পুতিনা

এই পরিস্থিতি, জর্জিয়া থেকে মাত্র ১০ বছর বয়সে পুতিনকে রাশিয়ার ওচিওরে দাদু-দিদার সঙ্গে থাকতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ভেরা। আর সেই অভিমান থেকেই তাঁকে ক্ষমা করতে পারেননি, মা বলে স্বীকৃতি দেননি, না চেনার ভান করেন পুতিন, এমনই মনে করতেন তিনি।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁর দাবিগুলিকে ফালতু বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, ভেরা তাঁর ভোভার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন। ছবির সেই ছোট ছেলেটির সঙ্গে কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্টের দারুণ সাদৃশ্য রয়েছে। তাছাড়া যে মেতেখি শহরে পুতিনের জন্ম বলে দাবি করেছিলেন ভেরা, সেই শহরের মেতেখি স্কুলের রেকর্ডে কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিনের নাম রয়েছে। ১৯৫৯, ১৯৬০ – দুই বছর সেই স্কুলের সঙ্গে যোগ ছিল তার। সেই পুতিনই রুশ প্রেসিডেন্ট কি না, তা জানার কোনও উপায় নেই।

ভেরার দেওয়া ‘পুতিনের’ ছবি

ভ্লাদিমির পুতিনে নিজের দাবি, ১৯৫২ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মেছিলেন তিনি। ভ্লাদিমির পুতিন সিনিয়র এবং মারিয়া শেলোমোভা ছিল তাঁর বাবা-মা। তাঁদের তৃতীয় পুত্র ছিলেন পুতিন। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। পুতিনের আরও দাবি, খুব অল্প বয়সে তাঁর দুই দাদারই মৃত্যু হয়েছে। কাজেই তাঁর দাবির সত্যতা যাচাই করারও কোনও উপায় নেই।