AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Video: মলদ্বীপে মাৎস্যন্যায়, সংসদের অন্দরে নজিরবিহীন ‘স্ট্রিট-ফাইট’, দেখুন

Chaos in Maldives Parliament: লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কন্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া - সংসদীয় কার্যধারা ব্যাহত করার লক্ষ্যে কিছুই বাদ রাখলেন না প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ক্ষমতাসীন জোটের সাংসদরা। কখনও দেখে মনে হতে পারে, মলদ্বীপ সংসদে বোধহয় রাগবি খেলা হচ্ছে। কখনও মনে হতে পারে, রাগবি নয় মল্লযুদ্ধ। আবার কখনও মনে হতে পারে, এটা বোধহয় ডব্লুডব্লুএফ-এর সম্প্রচার।

Video: মলদ্বীপে মাৎস্যন্যায়, সংসদের অন্দরে নজিরবিহীন 'স্ট্রিট-ফাইট', দেখুন
মলদ্বীপ সংসদে চূড়ান্ত ডামাডোলImage Credit: Twitter
| Updated on: Jan 28, 2024 | 8:08 PM
Share

মালে: চরম ভারত বিরোধী অবস্থান নিতে গিয়ে মলদ্বীপে প্রায় মুশল পর্ব শুরু হয় গেল। রবিবার (২৮ জানুয়ারি), মলদ্বীপের সংসদে দেখা গেল এক নদজিরবিহীন দৃশ্য। লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কন্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া – সংসদীয় কার্যধারা ব্যাহত করার লক্ষ্যে কিছুই বাদ রাখলেন না প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ক্ষমতাসীন জোটের সাংসদরা। কখনও দেখে মনে হতে পারে, মলদ্বীপ সংসদে বোধহয় রাগবি খেলা হচ্ছে। কখনও মনে হতে পারে, রাগবি নয় মল্লযুদ্ধ। আবার কখনও মনে হতে পারে, এটা বোধহয় ডব্লুডব্লুএফ-এর সম্প্রচার, যেখানে বিনোদনের জন্য মারধরের কোন উপায়ই বাদ রাখা হচ্ছে না। যার জেরে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সংসদ ছাড়তে হল, সেই দেশের বেশ কয়েকজন সাংসদকে।

গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারত বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে, ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের, মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এমডিপি-র। মহম্মদ সোলিহ ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত। আর, ক্ষমতাসীন জোটে রয়েছে প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মলদ্বীপ বা পিপিএম এবং প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস বা পিএনসি। এদিন, মলদ্বীপ সংসদে এক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম তলাকালীন এই দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। দেশের সংসদে ভয়ঙ্কর মারামারিতে জড়ালেন মলদ্বীপের সাংসদরা।

মলদ্বীপে নতুন ক্ষমতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়েছে ২২ জন মন্ত্রীর। তাঁদের সংসদীয় অনুমোদনের জন্যই এক বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল মলদ্বীপ সংসদে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জু এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট জয় পেলেও, মলদ্বীপ সংসদে পিপিএম-পিএনসি জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। সেখানে এখনও ছড়ি ঘোরায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের এমডিপি। সংসদের নিয়ন্ত্রণে তাদেরই হাতে। এদিন, মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার ২২টি নামের মধ্যে, ১৮ জনকে অনুমোদন দেয় সংসদ। আপত্তি ওঠে চারজনের নাম নিয়ে। এরপরই সংসদ অচল করে দেয় ক্ষমতাসীন পিপিএম-পিএনসি জোটের সংসদরা এবং এমডিপি সাংসদদের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংঘর্ষের বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এমডিপি সাংসদ ঈসা এবং পিএনসি সাংসদ আবদুল্লা শাহীম আবদুল হাকিমের মধ্যে তীব্র মারামারি হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যায়, ইসার পা ধরে টেনে ফেলে দিচ্ছেন শাহীম। ইসা পড়ে যান। এরপর, তিনি শাহীমের ঘাড়ে লাথি মেরে তাঁর চুল টেনে ধরেন। এই ঘটনার ফলে শাহীম গুরুতর আহত হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। একসময় অবস্থা আরেকটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অধ্যক্ষের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য মুইজ্জুর দলের সাংসদরা, তাঁর আসনের পাশে দাঁড়িয়ে ভেপু বাজাচ্ছেন। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, সংসদে কথা বলার জন্য যে মাইক রাখা থাকে, সেই মাইক তুলে মারামারির উপক্রম হয়। এরপর, মলদ্বীপ সংসদ ভবন থেকে সমস্ত মাইক সরিয়ে নেওয়া হয়।

শাসক জোটের দাবি, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের গ্রহণ না করা, দেশের অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার সামিল। সংসদের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তারা। মুইজ্জুর প্রধান উপদেষ্টা তথা পিএনসি চেয়ারপার্সন আবদুল রহিম আবদুল্লাহর দাবি, মন্ত্রীদের অনুমোদন না দেওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।