ফ্রিজের ভিতরে জুতোর বাক্স, আর তাতেই জমিয়ে রাখা ৪ নবজাতক!
Crime: ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুগুলির বাবা ২০১১ সালেই মারা গিয়েছে। এদিকে, এই দেহগুলি ২০২২ সালে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, যদি ওই ব্যক্তির ২০১১ সালে মৃত্যু হয়, তবে ২০২২ সালে তাঁর ডিএনএ যুক্ত নবজাতকরা এল কীভাবে?
বস্টন: ফ্রিজ পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন, দরজা খুলতেই দেখলেন ফ্রিজের ভিতরে সাজানো শিশুর দেহ। একটা নয়, পরপর চারটে দেহ সাজানো। জুতোর বাক্সের ভিতরে ফয়েলে মোড়ানো শিশুদের দেহ। দেখতেই মাথায় হাত দম্পতির। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই চারটি শিশু ভাইবোন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বস্টনের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বোনের বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী ফ্রিজ পরিষ্কার করতে গিয়েই দেখতে পান, ভিতরে রাখা রয়েছে চারটি সদ্যোজাতের দেহ রাখা। তবে এমনভাবে দেহগুলি জমিয়ে রাখা যে শিশুগুলির মৃত্যুর কারণ বা তাদের জন্মের আগেই মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না।
তবে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুগুলির বাবা ২০১১ সালেই মারা গিয়েছে। এদিকে, এই দেহগুলি ২০২২ সালে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, যদি ওই ব্যক্তির ২০১১ সালে মৃত্যু হয়, তবে ২০২২ সালে তাঁর ডিএনএ যুক্ত নবজাতকরা এল কীভাবে?
পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, এক মহিলা পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একটি সন্তানকেই দত্তকের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাই তাঁর জন্ম নথি রেজিস্টার রয়েছে। বাকি চারটি শিশুর দেহ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়। পুলিশ ওই মহিলাকেও খুঁজে বের করেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।