Tumbler In Bladder: তীব্র যৌন ইচ্ছাই হল কাল! মহিলার ব্লাডার থেকে এটা কী পাওয়া গেল? হতবাক সকলে
Tunisia Woman: ব্লাডারের স্ক্যানের পর জানা দেখা গিয়েছে, ওই মহিলার দেহে কাচের গ্লাসের পাশাপাশি একটি বড় পাথরও রয়েছে। এবং দেহের বিচারে পাথরটির আকার বৃহৎ এবং চওড়ায় ওই পাথরটি ৮ সেমি।
তিউনিসিয়া: ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের আশঙ্কা করে এক মহিলা এক মহিলা ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। তার মূত্রজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছিল এবং সবসময়ই শৌচালয়ের প্রয়োজন হত। চিকিৎসক ওই মহিলাকে দেখার পর তাঁকে বেশ কিছু পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওই মহিলা তারা ব্লাডারের স্ক্যান করেন। স্ক্যান রিপোর্ট আসার পর ওই মহিলা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রীতিমতো চমকে গিয়েছেন। স্ক্যান রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তার ব্লাডারে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে একটি কাচের গ্লাস আটকে ছিল।
ব্লাডারের স্ক্যানের পর জানা দেখা গিয়েছে, ওই মহিলার দেহে কাচের গ্লাসের পাশাপাশি একটি বড় পাথরও রয়েছে। এবং দেহের বিচারে পাথরটির আকার বৃহৎ এবং চওড়ায় ওই পাথরটি ৮ সেমি। এখনও অবধি ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমের মতে ওই মহিলা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, চার বছর আগে তিনি যৌন চাহিদা মেটাতে ওই কাচের গ্লাসটি ব্যবহার করেছিলেন। এবং যৌন উত্তেজনার মুহূর্তে নিজের অজান্তেই যোনির পরিবর্তে মূত্রনালিতে তিনি ও কাচের গ্লাসটি ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন। সায়েন্ট ডাইরেক্ট নামক একটি মেডিক্যাল জার্নালেও এই মহিলার ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে।
ওই মেডিক্যাল জার্নাল জানিয়েছে, এর আগেও এই ধরনের অনেক ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। যৌন চাহিদা মেটাতে অনেকেই বিভিন্ন বস্তুর আশ্রয় নিয়েছে, এবং সেই গুলি বের করে আনা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়গুলি এতটাই অস্বস্তিদায়ক যে তারা চিকিৎসকের পরামর্শও নেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেই থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তিউনিসিয়ার শহরের হাবিব বুরগুইবা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা শল্য চিকিৎসার সিস্টোলিথোটমি পদ্ধতি ব্যবহার করে ওই মহিলার ব্লাডার থেকে কাচের গ্লাসটি বের করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ওই মহিলার মূত্রে রক্ত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন US Man Protest: চাকরি করেন? বেতন কম? এই যুবকের মতো প্রতিবাদ করে দেখতে পারেন… দেখুন ভিডিয়ো