Bangladesh: বঙ্গোপসাগরে ইউনূসের কর্মসূচি! চিনের সঙ্গে বৈঠকই কি মাইলেজ দিল ‘অভিভাবক’ হওয়ার স্বপ্নে?
Bangladesh: এদিন ইউনূস বলেন, 'বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর শুধু বাংলাদেশই নয়। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতিতেও বঙ্গোপসাগরের অনেকাংশে ভূমিকা রয়েছে।'

ঢাকা: বঙ্গোপাসাগরে বিশেষ নজর ইউনূসের। চিনে গিয়ে নিজেদের বঙ্গোপসাগরের অভিভাবক বলে আন্তর্জাতিক স্তরে বেগ পেতে হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে। এবার সেই বঙ্গোপসাগর নিয়েই আরও বড় পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন তিনি। শুক্রবার দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেই সেই মনের কোণে লুকিয়ে থাকা বাসনার কথা বললেন ইউনূস।
এদিন ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর শুধু বাংলাদেশই নয়। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতিতেও বঙ্গোপসাগরের অনেকাংশে ভূমিকা রয়েছে।’
এরপরই বঙ্গোপসাগর ও তীরবর্তী অঞ্চলের জন্য এক বিশেষ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। তিনি জানান, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে একটি উৎপাদনমুখী ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তরের লক্ষ্য়ে কাজ করছে। আর সেই লক্ষ্যভেদেই সাগরকেও আরও কার্যকর করতে হবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত করতে সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরির কাজ করছে প্রশাসন। যার মাধ্যমে কার্যকর ও টেকসই সমুদ্রনীতি তৈরি হবে।’
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। সেখানে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ। ভারতের পূর্ব দিকের সাত রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার বলা হয়। এগুলির স্থলভাগ অবরুদ্ধ। এদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও পথ নেই। তাই সাগরে প্রভাব আমাদেরই।’
এছাড়াও চিনের সেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই বঙ্গোপসাগরের তীরে অর্থনৈতিক শিল্পাঞ্চল তৈরির জন্য শি জিনপিংয়ের প্রশাসনের কাছে আর্জি রাখেন তিনি। সেই আবেদন গৃহিত হয়েছে নাকি খারিজ হয়েছে, সেই নিয়ে কোনও তথ্য না পাওয়া গেলেও, কয়েক মাসের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরের তীরে নতুন কর্মসূচির কথা বললেন ইউনূস। নেপথ্যে কি অনুদান জোগাবে চিন? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।





