Yunus on USA: ‘কূটনৈতিক জয়’ ঘোষণা ইউনূসের, তাও প্রত্যাশা পূরণ হল না অন্য উপদেষ্টার
Bangladesh Tariff: একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

এরপরেই নিজের সমাজমাধ্য়মে একটি পোস্ট লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তাঁর কথায়, ‘শুল্ক আলোচনায় থাকা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এটা আমাদের কূটনৈতিক জয়। ১৭ পয়েন্ট শুল্ক কমানোর মধ্যে দিয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা তাদের কৌশল ও দীপ্তির পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থকে রক্ষা করেছেন।’
তবে ট্যারিফ কমা নিয়ে প্রকাশ্য়ে ইউনূস খুশিতে ‘গদগদ’ হলেও, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্দরে সমীকরণটা যে অন্য কষা হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকবে বলে মনে করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
এদিন তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি বাধা পাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নীচে নামবে বলেই প্রত্যাশা করেছিলাম।”
উল্লেখ্য, এর আগে এপ্রিল মাসে প্রথমবার শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশের বোঝা চাপিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। যা নিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের পণ্য রফতানি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি দিয়ে সেই কথা জানান ইউনূস। আর্জি করে শুল্ক কমানোর। যার পাল্টা মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করে আমেরিকা। এরপরই শুরু হয় দফায় দফায় আলোচনা। হোয়াইট হাউস যান বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। আপাতত সেই বৈঠকের ফল চোখের সামনে।

