কলকাতা: রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে মেনু কার্ড দেখে খাবারের দামের যে হিসেব আপনি কষেন, বিল আসার পর সে সব হিসেব গুলিয়ে যায়। খাবারের দামের যোগফলের নীচে জিএসটি-র বোঝা দেখে চমকে যান অনেকেই। আর সেটা দিতে বাধ্য হন ক্রেতারা। কিন্তু এমন অনেক রেস্তোরাঁ আছে যেখানে জিএসটি দেওয়ার প্রয়োজন নেই ক্রেতাদের। কোনটায় জিএসটি দেবেন, আর কোথায় দিতে হবে না, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।
অনেক রেস্তোরাঁই জিএসটি-র কম্পোজিশন স্কিমের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে। সেই সব রেস্তোরাঁ ক্রেতাদের কাছ থেকে জিএসটি নিতে পারে না।
যারা কম্পোজিশন স্কিমের আওতায় পড়বে, সেই সব রেস্তোরাঁর উচিত we cannot collect GST (আমরা জিএসটি নিতে পারি না) লিখে দেওয়া। বিলেও এই কথাটা লিখে দিতে হবে।
কিন্তু রেস্তোরাঁ যদি সেটা না করে থাকে, তাহলে বুঝবেন কীভাবে? জিএসটি পোর্টালে গিয়ে ওই রেস্তোরাঁর জিএসটি নম্বর দিতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে ওই রেস্তোরাঁ কী ধরনের ট্যাক্স নিতে পারবে। জানতে পারলেই জিএসটি ছাড়া বিল চাইতে পারবেন ক্রেতারা।
১. যদি আইআরসিটিসি থেকে খাবার কেনেন, তাহলে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।
২. রেস্তোরাঁর আউটডোর ক্যাটারিং সার্ভিস থাকলে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।
৩. কোনও হোটেলের অংশ নয়, আলাদাভাবে যদি কোনও রেস্তোরাঁ থাকে সেখানেও ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।
৪. যে হোটেলের ঘরের ভাড়া সাড়ে ৭ হাজারের নীচে, সেখানে রেস্তোরাঁ থাকলে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।
৫. যে হোটেলের ঘরের ভাড়া সাড়ে ৭ হাজারের ওপরে, সেখানে রেস্তোরাঁ থাকলে১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।