মুখেই তিক্ততা, ভারতের এই জিনিসের জন্য পাগল বাংলাদেশ, হা-পিত্যেশ করে বসেছিল এতদিন…
Bangladesh: গত বছর হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশিরা। কিন্তু সেই বুলি মুখেই। সেই ভারতীয় পণ্যের দিকেই মুখিয়ে থাকছে ওপার বাংলার বাসিন্দারা।

নয়া দিল্লি: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক রেখেছে ভারত। তবে বিপরীত দিক থেকে সবসময় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এত বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল ভারতের। গত বছর হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশিরা। কিন্তু সেই বুলি মুখেই। সেই ভারতীয় পণ্যের দিকেই মুখিয়ে থাকছে ওপার বাংলার বাসিন্দারা। এবার আরও এক ভারতীয় পণ্য গেল বাংলাদেশে, যার অপেক্ষায় দীর্ঘদিন বসেছিল।
উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হল ৩০ টন জিআই-ট্যাগযুক্ত গুড়। শনিবার এক সরকারি বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মুজাফফরনগর বিখ্যাত উচ্চমানের আখের জন্য। জিআই ট্যাগও রয়েছে এখানে তৈরি গুড়ের। এবার বাংলাদেশ ভারতীয় গুড়ের স্বাদ নেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কৃষক উৎপাদক সংস্থা (FPO) এবং কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির (FPC) মাধ্যমে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি গুড় রফতানি শুরু হচ্ছে।”
বাণিজ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে ভারত মিজোরাম থেকে সিঙ্গাপুরে অ্যান্থুরিয়াম ফুলের প্রথম রফতানি করেছে। অ্যান্থুরিয়াম মিজোরামে উৎপাদিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুলগুলির মধ্যে একটি, যা স্থানীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রসঙ্গত, জিআই ট্যাগ হল ভৌগোলিক নির্দেশক। মূলত কৃষি, প্রাকৃতিক বা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য (হস্তশিল্প এবং শিল্পজাত পণ্য)-র গুণমান এবং স্বতন্ত্রতাকে পরিচয় দিতেই জিআই ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
গুড় উৎপাদনে উত্তর প্রদেশ দেশের মধ্যে এক নম্বরে। পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিপুল হারে আখ চাষ করা হয়। এখানে অনেক মিল রয়েছে যা চিনি এবং গুড় তৈরি করে। উত্তর প্রদেশের গুড়ের চাহিদা দেশে এবং বিদেশে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।





