এই কোম্পানির স্বাস্থ্যবিমা আছে? ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাবেন না Cashless Treatment-র সুবিধা
Cashless Treatment: এবার একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হলেও, পাওয়া যাবে না ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা। ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া গ্রাহকরা পাবেন না ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা।

নয়া দিল্লি: স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য খুব খারাপ খবর। এবার একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হলেও, পাওয়া যাবে না ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা। ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া গ্রাহকরা পাবেন না ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা। নিভা বুপা, স্টার হেলথ, কেয়ার হেলথ ইন্সুরেন্স সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। দেশ জুড়ে ম্যাক্স হাসপাতালের যত শাখা আছে, কোথাও ক্যাশলেস চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে, বাজাজ অ্য়ালায়েন্সও উত্তর ভারতে তাদের ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
নিভা বুপা, স্টার হেলথ, কেয়ার হেলথ ইন্সুরেন্সের তরফে জানানো হয়েছে, ম্যাক্স হাসপাতালে এবার থেকে ক্যাশলেস চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। বিমা গ্রাহকদের নিজেদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর চিসচার্জ সার্টিফিকেট, প্রেসক্রিপশন, বিল, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও বিল নিয়ে জমা দিলে, সেই টাকা রিএমবার্স করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ গ্রাহকদের খরচ করা টাকা বিমার অধীনে ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে, বাজাজ অ্যালিয়ানজ জেনারেল ইনস্যুরেন্সও ঘোষণা করেছে, পলিসি হোল্ডাররা ১ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর ভারতের হাসপাতালগুলিতে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যাবে না। এর কারণ হল অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথকেয়ার প্রোভাইডারস-ইন্ডিয়া (AHPI)-র তরফে উত্তর ভারতে বাজাজ অ্যালিয়ানজ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অধীনে থাকা হাসপাতালগুলিতে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
AHPI-এর তথ্য অনুযায়ী, পার্টনার হাসপাতালগুলি থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কম রিএমবার্সমেন্ট রেট, একতরফা অর্থ প্রদানের ছাড়, ক্লেম নিষ্পত্তিতে দেরি, প্রি-অথরাইজেশন এবং ডিসচার্জ রিপোর্টের জন্য বর্ধিত সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
AHPI দেশের ১৫,০০০-রও বেশি হাসপাতালের প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাক্স হেলথকেয়ার এবং মেদান্তার মতো হাসপাতাল। তাদের তরফে বলা হয়েছে যে চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি সত্ত্বেও, বাজাজ অ্যালিয়ানজ রিএমবার্সমেন্ট রেট পরিবর্তন করেনি। হাসপাতালগুলি বলেছে, পুরনো হারে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া আর্থিকভাবে সম্ভব নয়।
AHPI-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ গিরধর জ্ঞানী বলেন যে ভারতে চিকিৎসা ব্যয় প্রতি বছর ৭-৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মীদের বেতন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ, জল এবং অন্যান্য খরচ। হাসপাতালগুলি ব্যয় কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, কিন্তু পুরনো হারে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব নয়। যদি এটি চলতে থাকে, তাহলে রোগীর চিকিৎসা পরিষেবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রতি ২ বছর অন্তর চিকিৎসার ক্রমবর্ধমান খরচের সাপেক্ষে ট্যারিফ পরিবর্তনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তা বাজাজ অ্যালিয়ানজ দীর্ঘদিন ধরেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে এবং পরিবর্তে সেই হার কমানোর কথা বলছে। হাসপাতালগুলি অভিযোগ করেছে যে বাজাজ অ্যালিয়ানজ ক্লেম নিষ্পত্তিতে দেরি করে এবং রোগীরা দেরিতে ডিসচার্জ হন।

