নয়া দিল্লি: মধ্যবিত্তের পকেটে আরও বাড়তে চলেছে চাপ। জিএসটি বসেছে চাল-ডাল-আটার উপরেও। তবে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্য নয়, প্যাকেটজাত চাল-ডালের উপরই ৫ শতাংশ জিএসটি বসছে। গত ১ জুলাই থেকেই এই জিএসটি বসার কথা ছিল। আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে সেই নিয়ম। তবে এরমধ্যেও বিভেদ রয়েছে। ওজন অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলিকে জিএসটির আওতায় আনা হয়েছে। কোন পণ্য জিএসটির আওতায় পড়ছে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় এবার কেন্দ্রের তরফে জিএসটির হিসাব আরও স্পষ্ট করে জানানো হল। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্যাকেটজাত চাল-ডাল, মুড়ির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর জিএসটি বসলেও, ২৫ কেজির বেশি ওজনের পণ্যের উপরে জিএসটিতে ছাড় দেওযা হয়েছে।
রবিবারই সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের তরফে জানানো হয় যে, ২৫ কেজি অবধি প্রি-প্যাকেজড পণ্যের উপরে ৫ শতাংশ করে জিএসটি বসলেও, যদি সেই পণ্যের ওজন ২৫ কেজির বেশি হয়, তবে সেক্ষেত্রে কোনও জিএসটি দিতে হবে না। একইসঙ্গে কোনও দোকানী যদি ২৫ কেজির প্যাকেট কিনে, সেই পণ্য খোলা বাজারে বা প্যাকেটে বিক্রি করে, তবে সেক্ষেত্রেও জিএসটি বসবে না।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ১ জুলাই থেকে প্যাকেটজাত পণ্যের উপরে জিএসটি বসানোর ঘোষণা করা হয়েছিল, তা আগামী ১৮ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এতদিন অবধি প্যাকেটজাত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপরে কোনও জিএসটি ছিল না। কেবলমাত্র ব্রান্ডে়ড জিনিসেই জিএসটি বসত।
কেন্দ্রের তরফে যে এফএকিউ (সবথেকে বেশি করা প্রশ্ন) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রি-প্যাকেজ ও লেবেল করা খাদ্য সামগ্রী যেমন চাল, ডাল, গম, আটা ইত্যাদিও ২০০৯ সালের লিগাল মেট্রোলজি আইনের অধীনে প্রি-প্যাকেজ দ্রব্যের অন্তর্গত। যদি এই পণ্যের ওজন ২৫ কেজি অবধি হয়, তবে তার উপরে ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে। তবে প্রি-প্য়াকেজ পণ্যের ওজন যদি ২৫ কেজির বেশি হয়, তবে এতে কোনও জিএসটি দিতে হবে না।