Gautam Adani Wealth: আম্বানীকে পেছনে ফেলে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Feb 08, 2022 | 5:58 PM

Gautam Adani Wealth: অস্টেলিয়ায় কয়লা খনির বিত্রকে গত কিছু বছর ধরে গৌতম আদানি নিয়মিত আলোচনায় থেকেছেন। পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেটা থনবার্গ এর বিরোধিতা করেছিলেন। আদানি এখন ফসিলস ফুয়েলের জায়গায় নিজের অন্য ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন।

Follow Us

আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির (Gautam Adani) ভাগ্য চরমে রয়েছে। তিনি রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মুকেশ আম্বানীকে পেছনে ফেলে দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়েছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়েনিয়ার ইন্ডেক্সের মোতাবেক, শিল্পপতি গৌতম আদানি বিশ্বের দশম সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৮.৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানীকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় একাদশ স্থানে নেমে গিয়েছেন। আম্বানীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯.৯ হাজার কোটি টাকা। এই বছর এখনও পর্যন্ত গৌতম আদানি সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে চলতি বছরে মুকেশ আম্বানির ২ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। বিলিয়েনিয়ার ইন্ডেক্সের অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ লাখপতিদের মধ্যে এই বছর এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে।

গৌতম আদানিকে সার্ভাইভার অব ক্রাইসিস বলা হয়ে থাকে। কলেজ ড্রপআউট গৌতম আদানিকে ১৯৯৮ সালে কিছু লোক অপহরণ করেছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অপহরণের এই ঘটনায় অপহরণকারীরা তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকার মুক্তিপণ দাবি করেছিল। টাকা পাওয়ার পরই তাঁকে মু্ক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে যাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁদের প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে মুম্বইতে হওয়া জঙ্গি হামলার কথা সকলেরই মনে আছে। হামলার দিন গৌতম আদানি তাজ হোটেলেই উপস্থিত ছিলেন। যখন জঙ্গিরা হোটেলে হামলা চালায় সেই সময় তিনি হোটেলের একটি রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন আর তিনি নিজের চোখে জঙ্গিদের দেখেওছিলেন। কয়েকশো মানুষের সঙ্গে বেসমেন্টে লুকিয়ে তিনি কোনোভাবে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। এই কারণেই তাঁকে সার্ভাইভার অব ক্রাইসিস বলা হয়ে থাকে।

মার্চ ২০২০-তে মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল

গৌতম আদানির জন্য করোনার সময়কাল দুর্দান্ত থেকেছে। ২০২১ এ তার সম্পত্তি ৪২ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। ব্লুমবার্গের অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চের তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। গৌতম আদানির সম্পত্তি ২০২০ সালে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছিল।

সঠিক সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে করেছেন প্রবেশ

অস্টেলিয়ায় কয়লা খনির বিত্রকে গত কিছু বছর ধরে গৌতম আদানি নিয়মিত আলোচনায় থেকেছেন। পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেটা থনবার্গ এর বিরোধিতা করেছিলেন। আদানি এখন ফসিলস ফুয়েলের জায়গায় নিজের অন্য ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন। আদানি গ্রুপের ব্যবসা রিনুয়েবল এনার্জি, এয়ারপোর্ট, ডেটা সেন্টার, ডিফেন্স সেক্টরে ছড়িয়ে রয়েছে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের দীপক জসানির বক্তব্য, গৌতম আদানি পরিবর্তিত সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে প্রবেশ করেছেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাঁর উপর দারুণ বিশ্বাস রয়েছে।

রিনিউয়েবল এনার্জির উপর বিশেষ মনোযোগ

আদানি গ্রুপ অব কোম্পানি গত দু বছরে ৬০০-৭০০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিয়েছে। গৌতম আদানি এই মুহূর্তে রিনিউয়েবল এনার্জি ব্যবসায় যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছেন। গৌতম আদানি কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে ২০৩০ পর্যন্ত তিনি রিনিউয়েবল এনার্জির উপর ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন। তাঁর স্বপ্ন আদানি গ্রুপ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিনিউয়েবল এনার্জি উৎপাদনকারী হয়ে উঠুক।

আদানি গ্রুপের শেরারের করোনাকালে প্রদর্শন

করোনার সময়ে আদানি গ্রুপের শেয়ারের প্রদর্শনের কথা বলা হলে, আদানি টোটাল গ্যাসে ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। একইভাবে আদানি এন্টারপ্রাইসেজের শেয়ারে ৭৩০ শতাংশ, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারে ৫০০ শতাংশ, আদানি পোর্টের শেয়ারে ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সেনসেক্স ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির (Gautam Adani) ভাগ্য চরমে রয়েছে। তিনি রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মুকেশ আম্বানীকে পেছনে ফেলে দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়েছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়েনিয়ার ইন্ডেক্সের মোতাবেক, শিল্পপতি গৌতম আদানি বিশ্বের দশম সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৮.৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানীকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় একাদশ স্থানে নেমে গিয়েছেন। আম্বানীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯.৯ হাজার কোটি টাকা। এই বছর এখনও পর্যন্ত গৌতম আদানি সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা, অন্যদিকে চলতি বছরে মুকেশ আম্বানির ২ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। বিলিয়েনিয়ার ইন্ডেক্সের অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ লাখপতিদের মধ্যে এই বছর এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে।

গৌতম আদানিকে সার্ভাইভার অব ক্রাইসিস বলা হয়ে থাকে। কলেজ ড্রপআউট গৌতম আদানিকে ১৯৯৮ সালে কিছু লোক অপহরণ করেছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অপহরণের এই ঘটনায় অপহরণকারীরা তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকার মুক্তিপণ দাবি করেছিল। টাকা পাওয়ার পরই তাঁকে মু্ক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে যাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁদের প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০০৮ সালে মুম্বইতে হওয়া জঙ্গি হামলার কথা সকলেরই মনে আছে। হামলার দিন গৌতম আদানি তাজ হোটেলেই উপস্থিত ছিলেন। যখন জঙ্গিরা হোটেলে হামলা চালায় সেই সময় তিনি হোটেলের একটি রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন আর তিনি নিজের চোখে জঙ্গিদের দেখেওছিলেন। কয়েকশো মানুষের সঙ্গে বেসমেন্টে লুকিয়ে তিনি কোনোভাবে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। এই কারণেই তাঁকে সার্ভাইভার অব ক্রাইসিস বলা হয়ে থাকে।

মার্চ ২০২০-তে মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল

গৌতম আদানির জন্য করোনার সময়কাল দুর্দান্ত থেকেছে। ২০২১ এ তার সম্পত্তি ৪২ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। ব্লুমবার্গের অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চের তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। গৌতম আদানির সম্পত্তি ২০২০ সালে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছিল।

সঠিক সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে করেছেন প্রবেশ

অস্টেলিয়ায় কয়লা খনির বিত্রকে গত কিছু বছর ধরে গৌতম আদানি নিয়মিত আলোচনায় থেকেছেন। পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেটা থনবার্গ এর বিরোধিতা করেছিলেন। আদানি এখন ফসিলস ফুয়েলের জায়গায় নিজের অন্য ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন। আদানি গ্রুপের ব্যবসা রিনুয়েবল এনার্জি, এয়ারপোর্ট, ডেটা সেন্টার, ডিফেন্স সেক্টরে ছড়িয়ে রয়েছে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের দীপক জসানির বক্তব্য, গৌতম আদানি পরিবর্তিত সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে প্রবেশ করেছেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাঁর উপর দারুণ বিশ্বাস রয়েছে।

রিনিউয়েবল এনার্জির উপর বিশেষ মনোযোগ

আদানি গ্রুপ অব কোম্পানি গত দু বছরে ৬০০-৭০০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিয়েছে। গৌতম আদানি এই মুহূর্তে রিনিউয়েবল এনার্জি ব্যবসায় যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছেন। গৌতম আদানি কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে ২০৩০ পর্যন্ত তিনি রিনিউয়েবল এনার্জির উপর ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন। তাঁর স্বপ্ন আদানি গ্রুপ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিনিউয়েবল এনার্জি উৎপাদনকারী হয়ে উঠুক।

আদানি গ্রুপের শেরারের করোনাকালে প্রদর্শন

করোনার সময়ে আদানি গ্রুপের শেয়ারের প্রদর্শনের কথা বলা হলে, আদানি টোটাল গ্যাসে ১০০০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। একইভাবে আদানি এন্টারপ্রাইসেজের শেয়ারে ৭৩০ শতাংশ, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ারে ৫০০ শতাংশ, আদানি পোর্টের শেয়ারে ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সেনসেক্স ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article