ওয়াশিংটন: গত সপ্তাহেই নিজের শেয়ার বাজার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ন্যাথান অ্যান্ডারসন। হঠাৎই এমন ঘোষণা ঘিরে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প তাতেই কি চাপে পড়লেন ন্যাথান নাকি অন্য কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি? হিন্ডেনবার্গের ঝাঁপ বন্ধের ঘোষণায় সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই।
তবে মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন ন্যাথান। বলেছিলেন, তাদের সব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার কারণেই সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে সেই উত্তর দিয়ে এক সপ্তাহও কাটল না। তার আগেই আতশকাচের নীচে চলে এল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ও তার কার্যকলাপ।
কানাডার আদালতে পেশ হওয়া একটি নথির জেরে চাপে পড়ে যান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা। অভিযোগ, ইচ্ছে করে ভুল রিপোর্ট তৈরি করে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দর কমাতো ন্যাথান অ্যান্ডারসনের সংস্থা।
কী রয়েছে আদালতে পেশ হওয়া সেই নথিতে?
জানা গিয়েছে, কানাডার একটি হেজ ফান্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ট্য়াক্সি অ্যাপ ফেসড্রাইভ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেই রিপোর্টে কী কী তুলে ধরবে তারা, তা আগে থেকে সেই হেজ ফান্ড সংস্থাকে নাকি জানিয়ে দিয়েছেন ন্যাথান অ্যান্ডারসন। উল্লেখ করা থাকত শেয়ারের দামও।
এরপর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন একাংশ। তারা যে ভুল রিপোর্ট প্রকাশ করে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার প্রভাব ফেলত, এমনটাই অভিযোগ করছে অনেকে। এর আগে হিন্ডেনবার্গের এই ‘ভুল রিপোর্ট’ প্রকাশ করা নিয়ে সুর চড়িয়েছিল আদানি গোষ্ঠীও। তাঁদের বিরুদ্ধে শেয়ারের দর ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ করতেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকে কাঠগড়ায় টেনে ছিল আদানি। তাঁরা দাবি করেছিলেন, হিন্ডেনবার্গ খারাপ রিপোর্ট বার করে তাঁদের শেয়ারের দর কমানোর চেষ্টা করছে।