প্রয়াগরাজ: কারোর জন্য সেটা পুণ্যস্নানের ক্ষেত্র। কারোর জন্য তা আবার পেটে দু’বেলা খাবার জোগানোর মাধ্যম। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ পেরিয়ে ১৪৪ বছর এসেছে মহাকুম্ভ। অনেকেই বলে থাকেন, বহু মানুষই জীবনে একবারও এই মহাকুম্ভের সাক্ষী থাকতে পারেন না। ফলত, আর সকল কুম্ভ মেলার চেয়ে এই কুম্ভের গুরুত্ব একটু যে বেশিই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত ১৩ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে উৎসব। চলবে প্রায় এক মাসের অধিক সময়। ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ শেষ হবে মহাকুম্ভ মেলা। আর তার আগেই সেই বিরলতম উৎসবের সাক্ষী থাকতে প্রয়াগরাজের দিকে ছুটে চলেছেন বহু পুণ্যার্থীরা। ভিড় জমিয়েছেন ভিন দেশিরাও। সাক্ষাৎ মিলেছে সন্ন্যাসী, নাগা সন্ন্য়াসী, এমনকি অঘোরিদেরও।
এক মাস ব্য়াপী এই উৎসবে পা মেলাতে চলেছেন প্রায় ৪৫ কোটির অধিক মানুষ। এমনটাই অনুমান উত্তরপ্রদেশ সরকারের। তবে বেশির ভাগ মানুষের কাছে মহাকুম্ভ পুণ্যস্নানের ক্ষেত্র হলেও, কারোর কাছে এটি পেটে দু’মুঠো খাবার জোগানোর মাধ্যম মাত্র। আর এক মাস ব্যাপী এই অনুষ্ঠান যে সেই মানুষগুলিকেও সুযোগ দেবে, সেই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মহাকুম্ভের হাত ধরে বেড়েছে কাজের সুযোগ। মূলত, গিগ ওয়ার্কার বা অস্থায়ী কর্মীদের জন্যই বেড়েছে কাজের পরিমাণ। জানা যায়, শুধুমাত্র মেলা ঘিরে ১২ লক্ষ নতুন অস্থায়ী কাজ তৈরি হয়েছে প্রয়াগরাজে। যা ৮ লক্ষ কর্মীদের সারাবছরের তুলনায় একটু বাড়তি আয় জোগাতে সাহায্য় করবে। মানে কর্মীর তুলনায় কাজের পরিমাণ বেশি। ফলত, আয় ফুরোবে না গিগ ওয়ার্কারদের।