AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IIT Student Job: চাষির মেয়ে, পরিবারের প্রথম স্নাতক, IIT স্নাতক রাম্যার বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!

IIT Student Job: সম্বলপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে, রাম্যার ব্যাচে সে-ই সবথেকে বেশি প্যাকেজে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। চলতি মে মাসেই কর্মসূত্রে নাইজেরিয়ায় যাবেন রাম্যা।  

IIT Student Job: চাষির মেয়ে, পরিবারের প্রথম স্নাতক, IIT স্নাতক রাম্যার বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!
রাম্যা আর। ছবি সংগৃহীত।
| Edited By: | Updated on: May 08, 2023 | 8:45 AM
Share

চেন্নাই: কৃষক ঘরের মেয়ে, ছোট থেকেই আর্থিক অভাব-অনটন দেখেছেন। কিন্তু অভাবকে কখনও নিজের লেখাপড়ায় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে দেননি। তামিলনাড়ুর সেই কন্যাই এবার সকলকে চমকে দিয়ে রেকর্ড ব্রেকিং বেতনের প্য়াকেজের চাকরি পেলেন। সম্প্রতিই তামিলনাড়ুর সালেমের বাসিন্দা রাম্যা আর সিঙ্গাপুরের একটি ফার্মে দারুণ চাকরি পেয়েছেন। আইআইটি সম্বলপুরের পড়ুয়া রাম্যা ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে তোলারাম গ্রুপ নামক সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। তাঁর শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। বার্ষিক ৬৪.১৫ লক্ষ টাকার প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন রাম্যা। কর্মসূত্রে তাঁকে নাইজেরিয়ায় থাকতে হবে।

জানা গিয়েছে, আইআইটি সম্বলপুরের তরফে বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য ক্যাম্পাসিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ইন্টারভিউ দিতে যান রাম্য়া। ৫-৬ রাউন্ড ইন্টারভিউয়ের পর তোলারাম গ্রুপে চাকরি পায়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রাম্যার অসাধারণ ম্যানেজমেন্ট ও বিশ্লেষণাত্বক দক্ষতার জন্য তাঁকে এই বিপুল বেতনের চাকরি দেওয়া হয়েছে।

চাকরি পাওয়ার পরই বেজায় খুশি ২২ বছরের রাম্যা। তিনি বলেন, “আমার গ্রামের মহিলারা সাধারণত লেখাপড়ার জন্য বাইরে যায় না। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই রীতি বদল হচ্ছে। আশা করছি আমায় দেখে গ্রামের বাকি মহিলারাও অনুপ্রাণিত হবে এবং উচ্চশিক্ষার পথে পা বাড়াবে।”

সম্বলপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে, রাম্যার ব্যাচে সে-ই সবথেকে বেশি প্যাকেজে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। চলতি মে মাসেই কর্মসূত্রে নাইজেরিয়ায় যাবেন রাম্যা।

আইআইএম প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার আগে রাম্যা তামিলনাড়ুতেই লেখাপড়া করে। নামাক্কাল থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন রাম্যা। উল্লেখ্য, রাম্যাই তাঁর পরিবারে প্রথম স্নাতক। নিজের এই সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব তাঁর মা-বাবাকেই দিয়েছেন।