AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, সমীক্ষা বলছে কয়েক বছরেই পিপিপি অনুযায়ী GDP ছুঁয়ে ফেলবে ৩৪ ট্রিলিয়ন!

Indian Economy, Second Largest Economy: ভারত আগামী কয়েক দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক দারুণ জায়গা তৈরি করতে চলেছে। আমেরিকা, চিন, জার্মানি ও জাপানের তুলনায় বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে আমাদের দেশের।

দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, সমীক্ষা বলছে কয়েক বছরেই পিপিপি অনুযায়ী GDP ছুঁয়ে ফেলবে ৩৪ ট্রিলিয়ন!
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াImage Credit: PTI
| Updated on: Sep 03, 2025 | 7:54 AM
Share

এই বছরই পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে ভারত। আর তারপরই অগস্ট মাসে প্রকাশিত হয়েছে এক সমীক্ষা। ইওয়াইয়ের সেই সমীক্ষা বলছে, আগামী ২০৩০ সালে ভারত ২০.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। আবার ২০৩৮ সালের মধ্যে ভারত পৌঁছে যাবে ৩৪.২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে। অবশ্য তারা এটাও বলেছে এই সংখ্যাগুলো Purchasing Power Parities বা PPP অনুযায়ী।

এই সমীক্ষা আইএমএফের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। যা দেখায় ভারত আগামী কয়েক দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক দারুণ জায়গা তৈরি করতে চলেছে। আমেরিকা, চিন, জার্মানি ও জাপানের তুলনায় বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে আমাদের দেশের। জনসংখ্যাগত সুবিধা, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সুসংহত আর্থিক নীতির কারণেই মনে করা হচ্ছে আগামীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে দুইয়ে চলে আসবে ভারত।

২০২৫ সালে ভারতের সাধারণ জনসংখ্যার গড় বয়স মাত্র ২৮.৮ বছর। অর্থাৎ আগামীতে ভারতের এক বিরাট সংখ্যক মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে ও বর্তমানেও করছে। অন্যদিকে, বিপরীতে চিন, জার্মানি বা জাপানে জনসংখ্যার একটা বড় অংশেরই বয়স বেড়ে গিয়েছে। ফলে কর্ম শক্তিতে তারা পিছিয়ে পড়ছে ভারতের তুলনায়।

ভারতের দ্রুত বৃদ্ধির আরেকটি প্রধান কারণ হল আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেশি। সেই কারণে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও অনেক বেশি। দেশের এই বিপুল মধ্যবিত্ত শ্রেণিই দেশের বাজারের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। যে কারণে জার্মানি ও জাপান যেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর বেশি নির্ভরশীল, সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের ধাক্কা সামলে দেয় দেশীয় বাজার।

ভারতের একাধিক অর্থনৈতিক সংস্কার যেমন জিএসটি, ডিজিটাল পেমেন্ট, ইউপিআই দেশকে আরও উন্নত করে তুলছে। ফলে গই পাচ্ছে অর্থনৈতি। পাশাপাশি বাড়ছে বিভিন্ন পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও পুনর্ব্যবহার যোগ্য শক্তির প্রসার আগামীর ভারতের বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করছে।

আইএমএফের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৮–৩০ সময়ে ভারতের গড় বৃদ্ধি হবে ৬.৫ শতাংশ। যেখানে আমেরিকার ক্ষেত্রে তা হবে মাত্র ২.১ শতাংশ। ফলে ২০৩৮ নাগাদ ক্রয়ক্ষমতা সমতা বা PPP-এর নিরিখে ভারত আমেরিকা পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে। হিসাব বলছে, ২০২৮ সালেই বাজার বিনিময় হার অনুযায়ী ভারত জার্মানিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছবে।