Kashi Viswanath Temple Donation: রেকর্ড গড়ল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের অনুদান, কত টাকা জমা পড়েছে জানেন?
Kashi Viswanath Temple: কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গঙ্গা করিডরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগত দু-বছরে ২৩ কোটি পুণ্যার্থী এসেছিলেন কাশীধামে। ফলে ভক্তদের অনুদানে উপচে পড়েছে মন্দিরের দানবাক্সও।
বারাণসী: অযোধ্যার রাম মন্দির খোলার কয়েকদিনেক মধ্যেই ভক্তদের অর্ঘ্যে ভরে উঠেছিল দানবাক্স। প্রথম তিনদিনেই নগদ ও গয়না অনুদানে রেকর্ড গড়েছিল। তিরুপতি, বালাজির মতো অন্যান্য বড় মন্দিরেও বিপুল অঙ্কের অনুদানের পড়ে। এবার এই তালিকায় ঢুকে পড়ল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে রেকর্ড সংখক অনুদান জমা পড়েছে। সম্প্রতি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের তরফে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত কাশী বিশ্বনাথ মন্দির শিবের দ্বাদশ জ্যোর্তিলিঙ্গের একটি এবং দেশের বহু পুরানো ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র। সারা বছরই দেশ-বিদেশের বহু প্রান্ত থেকে হাজার-হাজার পুণ্যার্থী এখানে আসেন। একসময় কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গেলে সরু গলি দিয়ে যেতে হত ভক্তদের। তারপর ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী বারাণসী কেন্দ্র থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন। নরেন্দ্র মোদী বারাণসী কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পর থেকে বিশ্বনাথ মন্দির-সহ সমগ্র বারাণসীর আমূল পরিবর্তন করেছেন। কাশীর দশ্বমেধ ঘাট-সহ মন্দিরের অমূল সংস্কার করেছেন। ভক্তদের সুবিধার জন্য মন্দির থেকে সরাসরি গঙ্গা পর্যন্ত করিডর করে দিয়েছেন। যার ফলে আজকের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কলেবর ২৫ গুণ বেড়েছে। তার ফলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ভক্ত-পর্যটকের সংখ্যাও অনেকটা বেড়েছে।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গঙ্গা করিডরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগত দু-বছরে ২৩ কোটি পুণ্যার্থী এসেছিলেন কাশীধামে। ফলে ভক্তদের অনুদানে উপচে পড়েছে মন্দিরের দানবাক্সও। ট্রাস্টের দেওয়া হিসেব অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ৫৮.৫১ কোটি অনুদান জমা পড়েছে। যা রেকর্ড। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জমা পড়েছিল ২০.০৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবারে গতবারের অনুদানের প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জমা পড়া মোট অনুদানের ৪০ শতাংশ এসেছে অনলাইনের মাধ্যমে। বর্তমানে অনলাইনে মন্দিরে প্রবেশের টিকিটও সংরক্ষিত করা যাচ্ছে।