নয়া দিল্লি: গত ২০ মাস ধরে দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে শীঘ্রই জ্বালানির দাম কমতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলছে। জ্বালানির দাম কমানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম কমিয়ে গ্রাহকদের কাছ পর্যন্ত পৌছে দেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ পেট্রোলে প্রতি লিটারে ১৭ টাকা এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ৩৫ টাকা লোকসানের পরে তেল বিপণন সংস্থাগুলি (OMC) এখন পেট্রোলে প্রতি লিটারে ৮-১০ টাকা এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ৩-৪ টাকা লাভ করছে। এবার তেল মন্ত্রক অপরিশোধিত তেল এবং খুচরো তেলের দাম নিয়ে ওএমসি-র সঙ্গে আলোচনা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, যেহেতু তেল বিপণন সংস্থাগুলি (ওএমসি) এখন মুনাফা অর্জন করছে, তাই সরকার জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। বর্তমান অপরিশোধিত তেলের দাম বিবেচনা করছে অর্থ মন্ত্রক এবং তেল মন্ত্রক।
কেন জ্বালানি তেল সস্তা হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে?
গত তিন ত্রৈমাসিকে ভাল লাভের কারণে ওএমসির সামগ্রিক লোকসান কমেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, তিনটি ওএমসি – আইওসি, এইচপিসিএল এবং বিপিসিএল – এর যৌথ মুনাফা গত ত্রৈমাসিকে ২৮,০০০ হাজার কোটি টাকা ছিল। যেহেতু ওএমসি-গুলির লোকসান তোলার পর্ব শেষ হয়েছে, তাই সরকার ভাবছে যে গ্রাহকরাও এর সুবিধা পাবেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। দেশে জ্বালানি তেলের দামের হ্রাস হলে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি কমায় সাহায্য করতে পারে এবং ভারতের শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অপরিশোধিত তেলের দাম কত হয়েছে?
দীর্ঘদিন ধরে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের নীচে রয়েছে। গত একমাস ধরে উপসাগরীয় দেশগুলির গড় তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের নীচে চলছে। যেখানে আমেরিকান তেলের দাম এক মাস ধরে গড়ে প্রতি ৭৫ ডলারের নীচে রয়েছে। সোমবার উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে আনা তেলের দাম রেল প্রতি ৭৫.৯৯ ডলারের নীচে। যেখানে আমেরিকান তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭১.৩৪ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।