PM Modi on GST: গরিব-সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বাড়িয়েছে জিএসটি: প্রধানমন্ত্রী মোদী
PM Modi on GST: সোমবার (২৪ জুন), জিএসটির সাত বছরের যাত্রাকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়দের জীবনকে উন্নত করেছে জিএসটি। তিনি আরও বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়র জীবনের মানকে উন্নত করার মাধ্যম হল সংস্কার।
![PM Modi on GST: গরিব-সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বাড়িয়েছে জিএসটি: প্রধানমন্ত্রী মোদী PM Modi on GST: গরিব-সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বাড়িয়েছে জিএসটি: প্রধানমন্ত্রী মোদী](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/Modi-GST.jpg?w=1280)
নয়া দিল্লি: ২০১৭ সালের ১ জুলাই কার্যকর করা হয়েছিল পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি। তারপর প্রায় সাত বছর কেটে গিয়েছে। সোমবার (২৪ জুন), জিএসটির এই সাত বছরের যাত্রাকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়দের জীবনকে উন্নত করেছে জিএসটি। তিনি লিখেছেন, “আমাদের জন্য, সংস্কার হল ১৪০ কোটি ভারতীয়র জীবনের মানকে উন্নত করার একটি মাধ্যম। জিএসটি প্রবর্তনের পর, গৃহস্থালির ব্যবহারের পণ্যগুলিও অনেক সস্তা হয়ে গিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর, দরিদ্র এবং সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বেড়েছে। কারণ ময়দা, দই, ডিটারজেন্টের মতো গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিসের উপর কর কমিয়ে দিয়েছে জিএসটি। তিনি বলেন, “এর ফলে দরিদ্র এবং সাধারণ মানুষের জন্য সঞ্চয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। আমরা মানুষের জীবন পরিবর্তন করার জন্য এই সংস্কারের যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্স অ্যান্ড কাস্টমস-এর তথ্য অনুসারে, জিএসটি চালুর পর থেকে দৈনন্দিন ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিসের দাম কমে গিয়েছে। ময়দা থেকে টেলিভিশন, ডিটারজেন্ট, চুলের তেল, সাবান ইত্যাদি পণ্য রয়েছে। আসলে বেশ কিছু কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য করকে, একত্রিত করা হয়েছে জিএসটির মধ্যে। যার ফলে, এর আগে যে সকল পণ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যকে আলাদা আলাদা করে কর দেওয়া হত, সেই ডাবল ট্যাক্সেশনের বোঝা কমে গিয়েছে। পণ্যের উপর সামগ্রিক করের বোঝা কমায় উপকৃত হয়েছেন উপভোক্তারা।
সম্প্রতি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকটি হবে অগস্ট মাসের মাঝামাঝি বা ওই মাসের শেষে। মূল আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় রেলের কিছু নির্দিষ্ট পরিষেবায় এবং আন্তঃ-রেলওয়ে লেনদেনে ছাড় দেওয়া, ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের ডিমান্ড নোটিশগুলিতে সুদের জরিমানা মওকুফ করা ইত্যাদি। ইনভয়েস বা ডেবিট নোটগুলিতে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পাওয়ার সময়সীমাও বাড়িয়েছে কাউন্সিল।