কলকাতা: বাংলায় বড় বিনিয়োগের আশ্বাস রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অম্বানী বললেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে শুধু বাংলারই ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি গড়ে তোলার সবরকম সম্ভাব্য ক্ষমতা রয়েছে বলে মত রিলায়েন্স কর্তার। মুখ্যমন্ত্রীকে অম্বানীর আশ্বাস, বাংলার এই রকেট গতির উত্থানে আরও গতি আনতে কোনও খামতি রাখবে না রিলায়েন্স গোষ্ঠী। বললেন, “রিলায়েন্সের সবথেকে বড় বিনিয়োগ ক্ষেত্রের মধ্যে একটি পশ্চিমবঙ্গ। আপনি আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর পর রিলায়েন্স প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বাংলায়। আগামী তিন বছরে আরও অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা বাংলায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি আমরা।”
শিক্ষা, স্বাস্থ্যক্ষেত্র ও কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এই বিনিয়োগ করা হবে বলে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জানালেন মুকেশ অম্বানী। রিলায়েন্স জিও ও ফাইভ জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কীভাবে আমজনতার জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে, সেকথাও তুলে ধরেন রিলায়েন্স কর্ণধার। অম্বানী বললেন, “২০২৩ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ প্রান্তে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। ফাইভ জি-র এই বৈপ্লবিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে গ্রামীণ বাংলার ভোল পাল্টে দেব আমরা। জিও ফাইবারের মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি বাড়ি শীঘ্রই স্মার্ট হোম হয়ে উঠবে।” আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলার অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রের আমূল উন্নতি হবে বলে আশ্বাস রিলায়েন্স কর্ণধারের। এর ফলে প্রচুর নতুন কর্মসংস্থানও হবে বলে মনে করছেন তিনি।
রিলায়েন্স কর্ণধার আরও বললেন, বাংলা গোটা দেশের সেরা প্রতিভার জন্য চুম্বকের মতো হয়ে উঠবে, সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। মুকেশ অম্বানী আরও জানালেন, গোটা রাজ্যে ৯৮.৮ শতাংশ মানুষ রিলায়েন্স জিও-র সঙ্গে যুক্ত। কলকাতার ক্ষেত্রে তা ১০০ শতাংশ। এর পাশাপাশি রিলায়েন্সের রিটেলও বাংলায় যে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে, সেকথাও জানালেন তিনি। আশ্বস্ত করলেন, আগামী ২ বছরে আরও ২০০ রিটেল স্টোর খোলা হবে বলে জানালেন তিনি। এখন রয়েছে প্রায় ১ হাজার রিটেল স্টোর। আগামী ২ বছরে সংখ্যাটি প্রায় ১২০০-য় নিয়ে যেতে চান তিনি। মুকেশ অম্বানীর কথায়, এই রিটেল স্টোরগুলির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পও উপকৃত হচ্ছে।