Share Market Today: বয়ে যাচ্ছে রক্তগঙ্গা! সপ্তাহের শুরুতেই দালাল স্ট্রীটে পড়ল হাহাকার
Share Market Today: বরাবরের মতোই সেনসেক্সের সঙ্গী হয় নিফটি ৫০ ইনডেক্সও। মঙ্গলবার, সেনসেক্সের পতনের সঙ্গেই মুখ থুবড়ে পড়ে নিফটি ৫০। আগের তুলনায় নেমে যায় প্রায় ৩০০ পয়েন্ট।

কলকাতা: দিন বদলাচ্ছে, কিন্তু পরিস্থিতি নয়! সোমবারের মতোই মঙ্গলবারও ছবিটা রইল একইরকম। ‘রক্তবন্যা’ বয়ে গেল দালাল স্ট্রিটের বুক দিয়ে। ধাপে ধাপে পতন সেনসেক্সের। মাটি ছুঁয়ে ফেলল শেয়ারের বাজার অন্যতম সূচক।
মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে প্রথম ঘণ্টির পর পরিস্থিতি ঠিকঠাকই ছিল বলা চলে। কিন্তু বেলা গড়াতেই বাড়ে বিপদ। দুপুর ১.১২ নাগাদ এক নাগাড়ে পড়তে পড়তে মাটি ছুঁয়ে ফেলে সেনসেক্সের সূচক। এই সময় পর্যন্ত মোট ১ হাজার পয়েন্ট পড়ে ৭৬ হাজার পয়েন্টে এসে ঠেকে সেনসেক্স।
কী হাল নিফটি ৫০-র?
বরাবরের মতোই সেনসেক্সের সঙ্গী হয় নিফটি ৫০ ইনডেক্সও। মঙ্গলবার, সেনসেক্সের পতনের সঙ্গেই মুখ থুবড়ে পড়ে নিফটি ৫০। আগের তুলনায় নেমে যায় প্রায় ৩০০ পয়েন্ট।
সপ্তাহের শুরু থেকে কার্যত শঙ্কার আকাশ দেখছেন শেয়ারের কারবারিরা। গতকালও এক ধাক্কায় ৩০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছিল সেনসেক্স। সাময়িক পতন হয়েছিল নিফটি ৫০-এর।
কেন পড়ছে বাজার?
মঙ্গলবারের এই পতনের নেপথ্যে তিনটি মূল ফ্য়াক্টরকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে বাজার পড়ার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে প্রায় অধিকাংশ বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছে তারা। আর তাতেই ঘটছে পতন।
এছাড়াও ট্রাম্পের একের পর এক হুঁশিয়ারি শঙ্কার আবহ তৈরি করছে ভারতের বুকে। সরাসরি এদেশকে কোনও হুমকি না দিলেও, সম্প্রতি স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যে বাড়তি শুল্ক চাপানোর জেরে চাপ পড়েছে ভারতের বাজারেও। এমনকি, শুধুই ভারত নয়। ট্রাম্পের মেটাল পণ্য শুল্কের বাড়ানোর জেরে বাড়তি চাপ পড়ছে মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশেও।
এদিন সেনসেক্সের পতনে দোসর হয়েছে অটোমোবাইল, ফার্মা ও রিয়েল এস্টেট সংস্থার শেয়ারগুলি। সম্প্রতি, নিজেদের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্টে ধরাশায়ী এই তিন জাতের সংস্থাগুলি। কমেছে আয়। যার জেরে প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও।





