AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

States debt: রাজ্যগুলির ঋণের বোঝা ও চ্যালেঞ্জ

States debt: রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, একাধিক রাজ্য ঋণের বোঝায় জর্জরিত। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান। আর এই রাজ্যগুলির ঋণের বোঝার জেরে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ঋণের বোঝা সম্মিলিতভাবে অনেকটাই।

States debt: রাজ্যগুলির ঋণের বোঝা ও চ্যালেঞ্জ
প্রতীকী ছবিImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2023 | 4:11 AM
Share

নয়াদিল্লি: ঋণের বোঝা। তারপরও রাজনৈতিক স্বার্থে একাধিক প্রকল্প। রাজ্যগুলি কীভাবে এর মোকাবিলা করবে? কোনপথে রাজকোষ বাঁচবে? মনে করা হয়, যে কোনও রাজ্যের বাজেটই হল রাজ্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির আয়না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের আর্থিক স্থিতাবস্থার জন্য সাসটেনেবল সম্পদ থেকে নিজস্ব রাজস্ব বাড়াতে হবে।

রাজ্যগুলির আর্থিক অবস্থা নিয়ে RBI-র রিপোর্ট-

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, একাধিক রাজ্য ঋণের বোঝায় জর্জরিত। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান। আর এই রাজ্যগুলির ঋণের বোঝার জেরে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ঋণের বোঝা সম্মিলিতভাবে অনেকটাই। ঋণের বোঝার জন্য এই রাজ্যগুলি নানা আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। RBI-র সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ঋণের বোঝা সামান্য কমেছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে GDP-র তুলনায় ঋণের বোঝা ছিল ৩১.১ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা সামান্য কমে হয় ২৯.৫ শতাংশ। তবে আর্থিক দায়বদ্ধতা ও বাজেট পরিচালন আইন, ২০০৩ এর পর্যালোচনা কমিটির মতে, এই হার ২০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে এখনও অনেকটাই উপরে রয়েছে ঋণের বোঝা।

আর্থিক বরাদ্দের বিষয়ে রাজ্যগুলিকে কোন কোন ক্ষেত্রে জোর দেওয়া দরকার, তারও উল্লেখ করেছে আরবিআই। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে জোর দেওয়ার কথা বলছে আরবিআই। আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যেও রাজ্যগুলির জোর দেওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. শমিকা রবি এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের ড. মুদিত কাপুর ‘রাজ্যের বাজেট: ১৯৯০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণমূলক সময়ের প্রবণতা বিশ্লেষণ’ নামে একটি গবেষণাপত্রে একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন।

নির্বাচন কীভাবে প্রভাবিত করে রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থাকে-

আর কয়েকমাস পরই লোকসভা নির্বাচন। সদ্য পাঁচ রাজ্যে ভোট হয়েছে। দেখা গিয়েছে, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সরকার জনদরদি একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে। এরমধ্যে একাধিক রাজ্য পুরনো পেনশন সিস্টেম ফিরিয়ে আনার কথা চিন্তা করছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যেসব রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল, তাদের নিজের কর আয়ের পরিমাণ বেশি। গুজরাট, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মতো রাজ্যে মোট আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি অর্থ আসে নিজেদের কর আদায় থেকে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে, অসম, উত্তর প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় অবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কর ও অনুদানের জন্য অপেক্ষা করে। সেখানে নিজেদের কর আদায় ৪০ শতাংশের কম।

২০০৮ সাল পর্যন্ত পঞ্জাবের মোট রাজস্বের ৫০ শতাংশের বেশি আসত নিজের কর ব্যবস্থা থেকে। ২০১০ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় ৬০ শতাংশ। এরপর থেকে তা নামতে থাকে। বর্তমানে দেখা যায়, কেন্দ্রের অনুদানের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে পঞ্জাব।