Share Market: ৬০০-কে করেছে ৭ হাজার, খেলা এখনও বাকি! এই আন্তর্জাতিক স্টকেই লুকিয়ে নেই তো আপনার স্বপ্নের জীবন?
Share Market: হিসাব বলছে, ২০২০ সালে যদি কেউ মাত্র ৯ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় তখনকার হিসাবে ৬৬২ টাকায় এই সংস্থার একটি শেয়ার কিনত, তবে তা এখন পরিণত হত সাত হাজার টাকায়।

ওয়াশিংটন: একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে প্রায় প্রতিটি বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে দেখা মিলেছে একটি নির্দিষ্ট শেয়ারের। নাম ‘পালানতির টেকনোলজি’ (Palantir Technologies Inc.)। বর্তমানে এই সংস্থার শেয়ারের দর ৯০ টাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রতিটি বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিতে কেন দেখা মিলল এই শেয়ারের? তবে কি এই সকল বিনিয়োগকারীরা নিজেদের স্বপ্নের মাল্টিব্যাগার স্টক খুঁজে পেয়েছে? উত্তর অধরা।
কী এই মাল্টিব্যাগার স্টক(Multibagger stock)?
খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যে সকল সম্ভাব্য ও গুণমান সম্পন্ন শেয়ার এক ধাক্কায় বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশের উপর রিটার্ন দেয় তাদেরকেই বলে মাল্টিব্যাগার স্টক।
‘পালানতির টেকনোলজি’ এখনও পর্যন্ত কত রিটার্ন দিয়েছে?
হিসাব বলছে, ২০২০ সালে যদি কেউ মাত্র ৯ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় তখনকার হিসাবে ৬৬২ টাকায় এই সংস্থার একটি শেয়ার কিনত, তবে তা এখন পরিণত হত সাত হাজার টাকায়। অর্থাৎ পাঁচ বছরে রিটার্ন ৮০০ শতাংশের অধিক। অবশ্য, এটা শুনে যদি এমন মনে হয় যে মার্কিন শেয়ার বাজারে কীভাবে বিনিয়োগ করব? আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কিন্তু এমন প্রশ্নের কোনও ভিত্তি নেই। কারণ বর্তমানে প্রচুর সংস্থাই বিদেশি শেয়ার বাজার, বিশেষ করে মার্কিন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে সাহায্য করে থাকে।
সংস্থার ভবিষ্যৎ
বর্তমানে এই সংস্থা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং, সেই নিরিখে বলা যেতে পারে, আগামী দশ বছরে এই সংস্থাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। পাশাপাশি, এই সংস্থা একেবারে যুক্ত রয়েছে সেদেশের সরকারের সঙ্গে। সুতরাং, সরকার যত বেশি এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে জোর দেবে, ততই বেড়ে উঠবে এই সংস্থা।
তবে এই সেক্টরে এখনও কিছু পরিমাণ প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে এই সংস্থার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজার থেকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরাতে পারলে, এই সংস্থাকে রোখে কে? তারা আরও জানিয়েছেন, সরকারের নীতির উপর নির্ভর হওয়ায় এই সংস্থার মাল্টিব্যাগার হওয়ার সম্ভবনা একটু কম। তবে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের ভালই লাভ দিতে পারে ও দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত বাড়তে শেয়ারের দাম।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি: এটি একটি শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। নিজের টাকা, নিজের দায়িত্ব গুছিয়ে নিন। এই প্রতিবেদন কোনও নির্দিষ্ট শেয়ারে বিনিয়োগের পরামর্শ বা উস্কানি দেয় না।





