Elon Musk: নীতির পাঠ দিচ্ছেন ইলন মাস্ক! কাদের উদ্দেশে বললেন ‘লা লা ল্যান্ডে বাস করছেন’

Work From Office: নিজের সংস্থায় যেমন বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ রাখেননি, তেমন অন্য সংস্থায় যারা এখনও 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করছেন, তাদের তোপ দাগলেন ইলন মাস্ক।

Elon Musk: নীতির পাঠ দিচ্ছেন ইলন মাস্ক! কাদের উদ্দেশে বললেন 'লা লা ল্যান্ডে বাস করছেন'
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2023 | 5:18 PM

সান ফ্রান্সিসকো: করোনাকালে (COVID-19) গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল মাসের পর মাস। তবে কথায় আছে, “ইচ্ছা থাকলেই উপায় থাকে”। সেভাবেই করোনা সংক্রমণ এসে গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছিল কীভাবে বাড়িতে বসেও কাজ করা হয়। তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থা থেকে সংবাদমাধ্যম, বাড়িতে বসেই যাবতীয় কাজ (Work From Home) চলে বছর খানেক ধরে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কমার পরও বর্তমানে অনেক কর্মীই আর অফিসে ফিরতে চাইছেন না। এই ধরনের কর্মীদেরই এবার কটাক্ষ করলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তিনি বলেন, “যারা অফিসে আসেন, তাদের জন্য এটা অপমানজনক।” 

টুইটারের (Twitter) মালিকানা হস্তান্তরের পরই একের পর এক নিয়মে পরিবর্তন এনেছিলেন ইলন মাস্ক। সংস্থার অর্ধেকেরও বেশি সংখ্য়ক কর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছিলেন তিনি। উঠিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নিয়মও। চাকরি বাঁচাতে টুইটারের বহু কর্মীকে রাতে অফিসেই ঘুমাতে দেখা যায়। নিজের সংস্থায় যেমন বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ রাখেননি, তেমন অন্য সংস্থায় যারা এখনও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করছেন, তাদের তোপ দাগলেন ইলন মাস্ক।

মঙ্গলবার টেসলা সংস্থার এগজেকিউটিভ অফিসার বলেন,, “বাড়ি থেকে যারা ল্যাপটপে কাজ বসেন. তাদের কাজের প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। একইসঙ্গে ফ্যাক্টরিতে যারা কাজ করেন ও অন্যান্য কর্মীদের কাছেও ভুল বার্তা দেওয়া হয় যে তাদের কাছে আর অন্য কোনও অপশন নেই। এই ল্য়াপটপ ক্লাস লা লা ল্যান্ডে (স্বপ্নের দেশে) বাস করছে।” 

ইলন মাস্ক বলেন, “মানুষেরা গাড়ি তৈরি করছে, বাড়ি তৈরি করছে, বাড়ি সারাই করছে, খাবার তৈরি করছে। সাধারণ মানুষ যা কিছু ব্যবহার বা গ্রহণ করেন, তা সবকিছু তৈরি করা হচ্ছে। তাই এই ধারণা ভুল যে যারা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত, কেবল তাদেরই কাজে যেতে হবে, আপনাদের অফিসে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এটা কেবল উৎপাদনের বিষয় নয়, নীতিগতভাবেও এটা ভুল।”

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ কমার পর থেকেই ইলন মাস্ক কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। গত গ্রীষ্মেই তিনি টেসলার সমস্ত কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কর্মীদের সপ্তাহে ন্যূনতম ৪০ ঘণ্টা অফিসে থাকতেই হবে।