AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Trump Tariffs Hit: ট্রিগার চেপে দিলেন ট্রাম্প, এবার কার বুকে কটা গুলি লাগবে?

Trump’s Tariffs On Indian Export: ট্রাম্পের এই বাড়তি শুল্কের আগুনে পুড়তে পারে কোন কোন সেক্টর? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আমেরিকাকে ভারতের রফতানি করা ৮৬.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের মধ্যে ৬০.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্যেই ৫০ শতাংশ কর বসতে পারে।

Trump Tariffs Hit: ট্রিগার চেপে দিলেন ট্রাম্প, এবার কার বুকে কটা গুলি লাগবে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।Image Credit: PTI
| Updated on: Aug 28, 2025 | 12:10 PM
Share

ভারতীয় সময় সকাল ৯টা বেজে ৩১ মিনিটের পর থেকেই ভারতের উপর বাড়তি ৫০ শতাংশ কর চাপিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। আগে থেকে জারি করা নোটিস অনুযায়ী আমেরিকার ইস্টার্ন টাইম জোন অনুযায়ী রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকে ভারতের উপর এই বাড়তি করের বোঝা চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিল আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রাশিয়ার সঙ্গে যে সব দেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে সেই সব দেশকেই টার্গেট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার মধ্যে রাশিয়ান তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা ভারত। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমী দুনিয়া যখন রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়, তখন বেশ কিছুটা সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে থাকে ভারত। আর সেই কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের চক্ষুশূল হয়েছে আমাদের দেশ।

কিন্তু ট্রাম্পের এই বাড়তি শুল্কের আগুনে পুড়তে পারে কোন কোন সেক্টর? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আমেরিকাকে ভারতের রফতানি করা ৮৬.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের মধ্যে ৬০.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্যেই ৫০ শতাংশ কর বসতে পারে। ফলে এই সেক্টরগুলোতে আগামীতে কমতে পারে রফতানি। তথ্য বলছে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেতে পারে ভারতের বস্ত্রবয়ন ও পোশাক শিল্প। ভারত থেকে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমেরিকায় রফতানি করা হয়। যদিও এই সেক্টরে ভারতের প্রতিদ্বন্দী বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ঘাড়ে ৬৩.৯ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা।

হিরে ভারতে উৎপাদিত না হলেও ভারতে সেই হিরে প্রসেস করা হয়। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গোটা বিশ্বের হিরের ৯০ শতাংশের প্রসেস হয় ভারতে। আর সেই শিল্পেই এবার পড়তে চলেছে ট্রাম্পের কোপ। ফলে ইতিমধ্যেই ওই সেক্টর বেশ কিছু ছাঁটাইও দেখে ফেলেছে।

এ ছাড়াও সিফুড, কার্পেট, ফার্নিচার, চামড়া ও চামড়ার তৈরি পণ্য, গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি শিল্প, রাসায়নিক প্রস্তুতকারক শিল্প ও কৃষিপণ্য ও প্রসেসড খাবার তৈরি শিল্প ধাক্কা খাবে।

ট্রাম্পের এই ট্যারিফ থেকে বাঁচতে পারে কোন কোন সেক্টর? জানা গিয়েছে নতুন করে বাড়রি শুল্ক বসেনি ভারতের ফার্মা সেক্টরে। তবে ট্রাম্প বলেছেন যে সব সংস্থা ভারতের ফার্মা সংস্থাগুলোর উপর নির্ভর করে তারা যেন নিজেদের সব কাজ আমেরিকায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। এ ছাড়াও ইলেকট্রনিক্স সেক্টরও রয়েছে ট্রাম্পের এই শুল্কের বাইরে। ইতিমধ্যে ভারত থেকে আমেরিকায় আইফোন আমদানি করে অ্যাপেল। স্যামসংও তাদের নয়ডার কারখানা থেকে ফোন রফতানি করে আমেরিকায়। আর এই সেক্টরে আপাতত বসছে না কোনও শুল্ক। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারত থেকে ১৪.৬৪ বিলিয়ন ডলারের ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য রফতানি হয়েছে।

এ ছাড়াও স্টিল ও অন্যান্য ধাতুর রফতানিতেও সেভাবে বাড়তি কোনও শুল্ক বসেনি। আর রাশিয়া থেকে যে পেট্রোলিয়াম আমদানি নিয়ে এত সমস্যা কোনও কর বসেনি ভারত থেকে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য আমদানিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারত থেকে ৪.১ বিলিয়ন ডলারের পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রফতানি হয়েছিল আমেরিকাতে।