Cigarette Economy: একটা সিগারেট দেশকে কতটা ফতুর করছে জানলে আজই খাওয়া ছেড়ে দেবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 14, 2023 | 11:28 AM

Tobacco Tax: জানলে অবাক হবেন, পেট্রোল, ডিজেল, আয়রন-স্টিলের পর সরকারের কর বাবদ সবথেকে বেশি আয় হয় সিগারেট থেকেই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সরকারের জিএসটি বাবদ আয় হয়েছিল ১৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তামাকজাত পণ্য থেকে যে পরিমাণ কর আয় হয়, তা খরচ করা হয় সচেতনতা প্রচারে।

Cigarette Economy: একটা সিগারেট দেশকে কতটা ফতুর করছে জানলে আজই খাওয়া ছেড়ে দেবেন
শরীর-অর্থনীতি-দুইয়ের জন্যই ক্ষতিকর সিগারেট।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: দেশের অর্থনীতিতে (Economy) আসছে বিশাল জোয়ার। দ্রুত উন্নতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতি হবে ভারতের, এমনটাই অনুমান অর্থনীতিবিদদের। দেশের অর্থনীতি যেমন ঘোড়ার গতিতে ছুটছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে সিগারেট অর্থনীতিও (Cigarette Economy)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে যখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) সিগারেটের উপরে কর বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন দেশের একটা বড় অংশের জনগণ। সিগারেটের দাম বাড়লে দেশের অর্থনীতির লাভ হবে, এমনটাই ভাবা হয়। কিন্তু হিসাবটা এত সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, সিগারেটের অর্থনীতি ভারতের জিডিপি(GDP)-র জন্য যা লাভ করছে, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি করছে। সিগারেট পিছু ১ টাকা লাভ করতে সরকারের খরচ হচ্ছে ৮ টাকা।

সিগারেট অর্থনীতি কী?

ভারতে সিগারেট অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী, তা আন্দাজ করা যায় দেশে ধূমপায়ীদের হিসাব থেকেই। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সিগারেট প্রস্তুতকারক ও দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রাহক হল ভারত। দেশে উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আমদানি করা হয় দামি সিগারেট। চলতি বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সিগারেটে আমদানি শুল্ক ১৬ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। ন্যাশনাল ক্যালামিটি কন্টিজেন্ট ডিউটিও বাড়ানো হয় পান মশলা, বিড়ি, সিগারেটের উপরে। তার আগে শেষবার ২০২০ সালে সিগারেটের উপরে শুল্ক বাড়িয়েছিল সরকার।

জানলে অবাক হবেন, পেট্রোল, ডিজেল, আয়রন-স্টিলের পর সরকারের কর বাবদ সবথেকে বেশি আয় হয় সিগারেট থেকেই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সরকারের জিএসটি বাবদ আয় হয়েছিল ১৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে তামাকজাত পণ্য থেকে যে পরিমাণ কর আয় হয়, তা খরচ করা হয় সচেতনতা প্রচারে।

১ শতাংশ জিডিপি ধোঁয়ায় উড়ে যায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে ধূমপানের কারণে মৃত্যুহার অনেকটাই বেশি। শুধু ভারতেই ধূমপানের কারণে ৫৭ শতাংশ মৃত্যু হয়। ভারত সরকার তার মোট জিডিপির ১.০৪ শতাংশ জনস্বাস্থ্যে খরচ করে। এই বরাদ্দ অর্থের একটা বড় অংশই সচেতনতার প্রচারে খরচ হয়। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগ ও মৃত্যুতে খরচ হয়েছে ২৭.৫ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার সমান।

দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা-

তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৩৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সীরাই। প্রতি সিগারেট পিছু ১০০ টাকা আয়ের জন্য ভারত সরকার খরচ করে ৮১৬ টাকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ২৭ শতাংশই ধূমপানের কারণে হয়।

Next Article