AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জোট না হলে একাই লড়ার হুঙ্কার আব্বাসের, মিমকে নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য

আসন সমঝোতার পথে সিপিএম (CPIM) অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) আইএসএফ (Indian Secular Front)-র সঙ্গে। তবে কংগ্রেসের (Congress) কাঁটায় এখনও আটকে জোটের ভবিষ্যৎ।

জোট না হলে একাই লড়ার হুঙ্কার আব্বাসের, মিমকে নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য
| Updated on: Feb 23, 2021 | 6:14 PM
Share

কলকাতা: আসন সমঝোতার পথে সিপিএম (CPIM) অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) আইএসএফ (Indian Secular Front)-র সঙ্গে। তবে কংগ্রেসের (Congress) কাঁটায় এখনও আটকে জোটের ভবিষ্যৎ। মালদা ও মুর্শিদাবাদের আসনগুলি নিয়ে কংগ্রেস নয়নীয়তা না দেখানোয় পীরজাদা ফের একবার একাই বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Elections 2021) লড়ার হুঙ্কার দিয়েছেন। পাশাপাশি ওয়েইসির দল মিমের বিষয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এক সমাবেশ করে এ দিন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা সাফ বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, আসন রফা না হলে একলা চলো নীতি নিয়ে লড়বেন তিনি। সমাবেশ শেষে TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে জোটের বর্তমান অবস্থান নিয়ে মুখ খোলেন আব্বাস। তাঁর বক্তব্য, “নিজেদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি না করে একটা সমঝোতার জায়গায় আসলে সবার সুবিধা হয়। কিন্তু, কোনও ছোট ছোট কারণে যদি আমরা একে অন্যের সঙ্গে না থাকতে পারি তবে আমাদের একাই চলতে হবে। তবে দলের চেয়ারম্যানদের মধ্যে আলোচনা চলছে, দেখা যাক কী হয়।”

আইএসএফ-র চাহিদা মতো আসন বামেরা ছাড়তে রাজি হলেও কংগ্রেস এখনও মালদা – মুর্শিদাবাদ নিয়ে অনড়। এই দুই জেলায় কংগ্রেসের দাপট থাকার কারণে বেশি আসন থাকার কারণে আসন ছাড়তে নিমরাজি কংগ্রেস। যদিও আইএসএফ প্রধান এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সংবাদ মাধ্যমের সামনে। কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে পীরজাদার কৌশলী জবাব, “এই বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান (নওশাদ সিদ্দিকি) বলতে পারবেন।”

আরও পড়ুন: সওয়া এক ঘণ্টা! রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিষেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল সিবিআই

আসন নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যে শেষ পর্যন্ত যদি আইএসএফ-র সঙ্গে জোট ভেস্তে যায় সেক্ষেত্রে একাই লড়ার কথা জানিয়ে রাখেন আব্বাস। তবে এক লড়লে কতগুলি আসনে প্রার্থী দেবেন তা নিশ্চিত করেননি। বরং ধোঁয়াশা রেখে বলেছেন, “হয়তো ২৯৪ টা আসনে লড়ার ক্ষমতা আছে। মানুষ আমাদেরকেই চায়। কিন্তু, শুধু মানুষ চাইলে হয় না। ভোট প্রক্রিয়ারও বিষয় আছে। একটা নতুন দল হয়তো সব জায়গায় পেরে উঠতে পারবে না। সেরকম হলে চেষ্টা করে দেখব যতটা এগিয়ে যাওয়া যায়।”

শেষ পর্যন্ত জোট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া গেলে অবশ্য আসাদুদ্দিন সিদ্দিকির মিমকে পাশে নিয়েই ভোটে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আব্বাসের সাফ কথা, “ওরা বাংলায় আসবে রাজনীতি করতে। আমরা যে ফ্রন্ট করেছি সেটায় তারা থাকতে চান। আমাদের আলোচনা হয়েছে। ভোট যাতে কাটাকাটি না হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করব।” তাহলে কি মিমের জন্য জোটের দরজা তিনি খুলে রাখছেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য খোলসা করেননি আব্বাস।

আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডে রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে ঢুকতে বাধা লালবাজারের কর্তাদের, হাতুড়ি নিয়ে তৈরি হচ্ছে পুলিশ