প্রথম দফার ভোটের পরই অসমে কত আসন পাচ্ছে বিজেপি, জানিয়ে দিলেন শাহ

অসমের মানুষরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসবাদ মুক্ত, বেকারত্বমুক্ত, আন্দোলনমুক্ত রাজ্য তৈরির লক্ষ্যেই মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)।

প্রথম দফার ভোটের পরই অসমে কত আসন পাচ্ছে বিজেপি, জানিয়ে দিলেন শাহ
অমিত শাহ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2021 | 4:08 PM

গুয়াহাটি: প্রথম দফার ভোট মিটতেই বিপুল সংখ্যায় ফের অসম জয়ের ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “গতকাল অসম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগে দুই রাজ্যেই নির্বাচনের আগে অশান্তি হত। এইবার একটিও অশান্তি বা খুনের খবর আসেনি। এটি অত্যন্ত শুভ সংকেত। বাংলায় ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসনে এবং অসমে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৭টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করবে।”

দুই প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও অসম জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে বিজেপি (BJP)। প্রথম দফার ভোট গ্রহণ মিটতেই বিজেপির বিপুল জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে অমিত শাহ বলেন, “প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরই বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের আসন সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জয়ের ব্যবধানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসমে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৭টি আসনে জয় প্রায় নিশ্চিত।”

পুরনো সরকারকে ফেরানোর কারণ হিসাবে অমিত শাহ জানান, অসমের মানুষরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসবাদ মুক্ত, বেকারত্বমুক্ত, আন্দোলনমুক্ত রাজ্য তৈরির লক্ষ্যেই মানুষ ভোট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে রাজ্যে যে বিকাশ হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ও হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের উন্নয়ন আনতে যে পরিমাণ কাজ করেছেন তাতে অসমবাসীরা “ডবল ইঞ্জিন সরকার”-র উপরই আস্থা রাখছে।

রাজ্য়ের উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর ছ’টিরও বেশি সেতু তৈরি হয়েছে। কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যের জমি উদ্ধার সহ নানা ধরনের বিকাশের কাজ করেছে বিজেপি। এই উন্নয়নের কাজ বজায় রাখতেই বিজেপির স্বপক্ষেই ভোট দেবেন মানুষরা।”

অসমের সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে তিনি বলেন, “বেশ অনেক বছর  আগে অসমে নির্বাচনের সময় অশান্তির খবর পাওয়া যেত। বাংলাতেও বিগত নির্বাচনগুলিতেও অশান্তির খবর মিলত। এবারে তা কিছুই হয়নি।” বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে অমিত শাহ বলেন, “বাংলায় যেভাবে শাসকদল দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছে এবং ক্রমাগত অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে মানুষ আশাহত। ৩৪ বছর কমিউনিস্ট শাসনের পর পরিবর্তন আনতে বাংলার মানুষ দিদিকে ভোট দিয়েছিল। চিহ্ন বদলালেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। কেবল পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, তা পূরণ করতেই বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে।”

আরও পড়ুন: পরমবীরের দাবির সত্যতা যাচাই করবেন প্রাক্তন বিচারপতি, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখ