Contai Municipal Election 2022: আর মেজাজ হারালেন না, জোড়হাতে বিক্ষোভকারীদের প্রণাম! আজও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মুখে শুভেন্দু
Contai Municipal Election 2022: বরং যে সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে হাত জোড় করে প্রণাম জানান শুভেন্দু। সৌজন্য বিনিময়ের চেষ্টা করেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথিতে ফের শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’। নিজের গড়েই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। বিরোধী দলনেতাকে গো ব্যাক স্লোগান। গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। দিতে থাকেন স্লোগান। বৃহস্পতিবারই শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন। শুক্রবার সকালে কাঁথির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুরপ্রচারে বেরিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামেন তিনি। তখনই দেখা যায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা শুভেন্দুর উদ্দেশে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। বৃহস্পতিবারও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তিনি। সেদিন মেজাজ হারিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি। বরং যে সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে হাত জোড় করে প্রণাম জানান শুভেন্দু। সৌজন্য বিনিময়ের চেষ্টা করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এটা তৃণমূলের কালচার। তৃণমূল তার কালচার থেকে বের হতে পারবে না। একটা সম্প্রদায়কে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চলছিল। সেলিম বলে একজনকে দিয়ে হইহই করিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চলছিল। তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোককেই দেখবেন, তারা তৃণমূলের পতাকা নামিয়ে আমাকে নমষ্কার করছে।”
২০২২এর কাঁথি পৌরসভার নির্বাচনও হাইভোল্টেজ। উত্তেজনার পারদ চড়ছে এলাকায়। শুভেন্দু অধিকারীর প্রার্থীর হয়ে ডোর টু ডোর প্রচার সারছেন। তবে তারই মাঝে ঘটছে, এই ধরনের কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা। বৃহস্পতিবার কাঁথিতে দলীয় কর্মীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কনকপুর সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ওইদিন বিজেপি প্রার্থী গোবিন্দ খাটুয়া হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই নির্বাচন উপলক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল। সেই ক্যাম্পেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। শুভেন্দু সেখান থেকে যাওয়ার সময়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুভেন্দু দেহরক্ষীরা তাঁকে জমায়েত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেইসময়েই মেজাজ হারান অধিকারী পুত্র। এক বিক্ষোভরত তৃণমূল সমর্থক ক্রোধান্বিত হয়ে তিনি বলেন, “এইসব কেন করছ? এসব করা কি উচিত! এসব করবে না। নির্বাচনী প্রচার সবাই চালাবে।”