Alipurduar TMC: স্ত্রী নির্দল প্রার্থী, তবে তাঁকেও কেন বহিষ্কার? আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল অন্দরে বিস্তর জলঘোলা
Alipurduar TMC: তিনি নন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী, তাহলে তাঁকে বহিষ্কার কেন? প্রশ্ন তুলে জেলা নেতৃত্বকে তোপ বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার।
আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলে বহিষ্কার ঘিরে সরগরম আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ারে ৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। বহিষ্কার ইস্যুতে বিস্ফোরক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা গৌতম তালুকদার। তিনি নন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী, তাহলে তাঁকে বহিষ্কার কেন? প্রশ্ন তুলে জেলা নেতৃত্বকে তোপ বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার।
বহিষ্কার ইস্যুতে এখন সরগরম আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ারে ৬ জনকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। আর এই বহিষ্কার নিয়ে আলিপুরদুয়ারে প্রশ্নের মুখে নেতৃত্ব। যদিও জেলা নেতৃত্ব এ নিয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে বহিষ্কারের তালিকায় রয়েছেন ৩ নির্দল প্রার্থী ও তাঁদের স্বামীরা।যে সব নির্দল প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন, তাঁরা দলের সদস্যই নন। তাই তাঁদের বহিষ্কার কীভাবে সম্ভব? তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
এ ব্যাপারে পোড় খাওয়া বহিষ্কৃত তৃনমূল নেতা গৌতম তালুকদার বলেন, “বহিষ্কারের আগে আমি মনে করেছিলাম আমাকে শোকজ করবে। শোকজে দলকে আমি পরিস্থিতি জানাতাম। লিখিত আকারে জানাতে চাইছিলাম। বহিষ্কারের আগে শোকজ করতে হয়, এটাই প্রথা। বহিষ্কার করলে তো আমাকে করবে দল। আমি দলের সদস্য। আমার স্ত্রী তো দলের সদস্য নন। এই এলাকার মা মাটি মানুষ আমার স্ত্রীকে নির্দল প্রার্থী করেছে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কথা বলেছিলেন। আমি প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলাম। স্ত্রীর আত্মসম্মানের জন্য সেই জায়গা থেকে ফিরতে চায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “এই সিষ্টেম ঠিক নয়। আমার কিছু করার নেই। বহিষ্কার করলে বেরিয়ে যাব। ১২৭০ ভোট পাওয়া আমি ৩ টা টার্মের কাউন্সিলর। ২৪২ ভোট পায় সেই ফ্যামিলি প্রার্থী হয়? যাকে কেউ গ্রহণই করবে না।”
আলিপুরদুয়ারে ৩ নির্দল প্রার্থী ও তাঁদের স্বামীরা বহিস্কারের তালিকায়। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর গৌতম তালুকদার ও তাঁর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী গার্গী তালুকদার। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মায়া মজুমদার, তাঁর স্বামী প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন মজুমদারকেও দল বহিষ্কার করেছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃনমূল নেতা পুলক মিত্র ও তাঁর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী ঝুমা মিত্রও এই শাস্তির মুখে। দলের সদস্যই নন নির্দল প্রার্থীরা। তবে কীভাবে তাঁদের বহিষ্কার? এই প্রশ্নে সরগরম আলিপুরদুয়ার।
নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর অনেক বিক্ষুব্ধ নেতাকেই সতর্ক করেছিল দল। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছিল যাতে তাঁরা মনোনয়ন তুলে নেন ও তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও যাঁরা মনোনয়ন তোলেননি, তাঁদের বহিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে সরানো হয়েছে দল থেকে। তাঁদের ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। পুরুলিয়া, দুবরাজপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়ায় বহিষ্কার করা হচ্ছে নেতাদের।
আরও পড়ুন: TMC Meeting In Kalighat: কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক, অভিষেক কোন পদে? তুঙ্গে চর্চা