Karnataka Election 2023: সরিয়ে দিলেও ফেলে দেওয়া গেল না, বিজেপির ভোট ম্যাসকট সেই ইয়েদুরাপ্পা

BS Yediyurappa: ২০২১ সালের জুলাইয়ে বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে তিনিই গেরুয়া শিবিরের ভরসা।

Karnataka Election 2023: সরিয়ে দিলেও ফেলে দেওয়া গেল না, বিজেপির ভোট ম্যাসকট সেই ইয়েদুরাপ্পা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 3:22 PM

বেঙ্গালুরু: ২০২১ সালের জুলাইয়ে বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বয়সের কারণে নির্বাচনী রাজনীতিতে তিনি আর অংশ নেবেন না। তাঁর বদলে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল বাসবরাজ বোম্মাইকে। চলতি বছরে মে মাসের আগেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচন আসতেই ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন বহু যুদ্ধের নায়ক ইয়েদুরাপ্পা। বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে তাঁকে ঘিরেই। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে কর্নাটকে দলের প্রচারের প্রধান তারকা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ইয়েদুরাপ্পাই এখনও কর্নাটক বিজেপির মুখ, এটা প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চলছে। আর অন্যদিকে, কংগ্রেস, জেডি (এস)-এর মতো বিরোধী দলগুলি প্রমাণ করতে চাইছে, কীভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই বর্ষিয়ান নেতাকে মাঠের বাইরে বের করে দেওযা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ইয়েদুরাপ্পাকে কোনও সক্রিয় ভূমিকায় না রেখেই নির্বাচনী প্রচারে যেতে চেয়েছিল বুজেপি। কিন্তু, এখন এই বিষয়ে তাদের অবস্থান বদলে গিয়েছে। ইয়েদুরাপ্পাকেই সামনে রেখে ভোট চাইছে তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঞ্চে থাকতে প্রচারের আলোকবৃত্তে অন্য কোনও নেতা, এমনটা ভাবাই যায় না। অথচ, সম্প্রতি শিবমোগায় নিজেই ইয়েদুরাপ্পাকে মঞ্চ ছেড়ে দিতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। জনসেবায় তাঁর অবদান অনুপ্রেরণাদায়ক বলে জানিয়েছেন মোদী। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা একযোগে অশিতীপর ইয়েদুরাপ্পাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।

কিন্তু, কেন ফের কর্নাটকের রাজনীতির মধ্য গগনে ইয়েদুরাপ্পা? রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে শোনা যাচ্ছে মূলত তিনটি কারণ – প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে ভোঁতা করে দেওয়া, লিঙ্গায়ত ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখা এবং বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে, তার মোকাবিলা করা। কর্নাটকের রাজনীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে এই লিঙ্গায়ত সমাজ। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশই লিঙ্গায়ত, আর এই সম্প্রদায়ই বিজেপির ভোটের মূল ভিত্তি। প্রথমে বোম্মাইকে সামনে রেখে লিঙ্গায়ত ভোট ধরে রাখতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, সংরক্ষণ-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে যেভাবে লিঙ্গায়ত সমাজে ক্ষো বাড়ছে, তাতে বোম্মাইকে দিয়ে এই লক্ষ্যপূরণ করার বিষয়ে বিশেষ আস্থাশীল নয় বিজেপি। তাই লিঙ্গায়ত সমাজে ইয়েদুরাপ্পার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।

অন্যদিকে, ইয়েদুরাপ্পার কিছু ব্যক্তিগত লক্ষ্য রয়েছে। নিজে আর নির্বাচনী রাজনীতিতে না থাকতে চাইলেও, তাঁর সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চান তিনি। তিনি ভোটে লড়বেন না জানানো সময়ই তিনি বলেছিলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে শিকারিপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়বে তাঁর ছোট ছেলে তথা দলের রাজ্য সহ সভাপতি বি ওয়াই বিজেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার পরই বিজেন্দ্রকে মন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু দল রাজি হয়নি। তাঁর বড় ছেলে বিওয়াই রাঘবেন্দ্র শিবমোগার সাংসদ।