AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নন্দীগ্রামের আসন আব্বাসকে ছেড়ে দিল বামেরা, ‘আত্মত্যাগ’ জোটের স্বার্থে

সূত্রের খবর, ১৯৫২ সালের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) আসনে বামেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। জোটের স্বার্থে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ (Indian Secular Front)-কে। ১৯৫২ থেকে সিপিআই (CPI) এই আসনটিতে লড়ে এসেছিল।

নন্দীগ্রামের আসন আব্বাসকে ছেড়ে দিল বামেরা, 'আত্মত্যাগ' জোটের স্বার্থে
ছবি-ফেসবুক
| Updated on: Feb 23, 2021 | 9:54 PM
Share

কলকাতা: আব্বাসের (Abbas Siddiqui) সঙ্গে জোট টিকিয়ে রাখতে বড় ‘আত্মত্যাগের’ পথে হাঁটল বামেরা (Left)। সূত্রের খবর, ১৯৫২ সালের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) আসনে বামেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। জোটের স্বার্থে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ (Indian Secular Front)-কে। ১৯৫২ থেকে সিপিআই (CPI) এই আসনটিতে লড়ে এসেছিল। তবে বিগত পাঁচ দশকে প্রথমবার এই নিয়মের অন্যথা হতে চলেছে। বিধানসভা ভোটে আবার এই আসনেই  লড়বেন বলে জানিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, জোটের স্বার্থেই এই বছর এ হেন চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আসন আইএসএফ-কে ছাড়ার বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছে সিপিএম। সংখ্যালঘু ভোট ওই এলাকায় বেশি থাকার কারণে এআইএসএফ-ও বারবার এই আসন দাবি করেছিল। সেই কারণে সিপিএমও আসনটি ছেড়ে দিয়েছে।

২০১৬ সালে ঘাসফুলের জার্সিতে এই আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে থেকেই অবশ্য অধিকারীদের খাসতালুক হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচয় পেয়েছে নন্দীগ্রাম। তবে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই আসনকে কেন্দ্র করেই যেন যাবতীয় রাজনৈতিক পারা চড়েছে দফায় দফায়। তৃণমূল লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে ‘অধিকারী গড়’ নামক এই ইমেজ ভাঙার।

আরও পড়ুন: জোট না হলে একাই লড়ার হুঙ্কার আব্বাসের, মিমকে নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য

গত জানুয়ারি মাসেই সভা করতে গিয়ে নিজেকে ওই আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নন্দীগ্রামের পাশাপাশি ভবানীপুরের আসনেও তিনি লড়বেন বলে জানিয়েছিলেন। আর এই জায়গাতেই লাগাতার বিজেপি নেতারা পালটা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের সুপ্রিমোর উদ্দেশে ছুড়ে গিয়েছেন। সকলেই কার্যত এক সুরে বলেছেন, মমতা যদি নন্দীগ্রামে নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিত থাকেন তবে কেবল ওই আসন থেকেই প্রার্থী হন। শুভেন্দু তথা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মমতা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হলে তাঁকে ৫৫ হাজার ভোটের ফারাকে পরাজিত করবেন।

আরও পড়ুন: সওয়া এক ঘণ্টা! রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিষেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল সিবিআই

এই আসন নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতি সরগরম, তখনই নন্দীগ্রামের আসনে দ্বিতীয় বোমাটা ফাটাল বামেরা। বাম নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতির কারবারিদের পর্যবেক্ষণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এ বার আরও কঠিন হতে চলেছে। কেননা, একাধিক সভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ৩০ শতাংশের (পড়ুন সংখ্যালঘু) ভরসায় নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন মমতা। সেই ভোটে থাবা বসলে কী হবে তা নিয়ে অপেক্ষা অধীর হচ্ছে রাজনৈতিক মহলের।