ভাঙড়ের আসনও আব্বাসকে ছাড়বে বামেরা, জোটের স্বার্থে বেনজির ‘নমনীয়তা’

নন্দীগ্রাম, জামুরিয়ার পর এ বার ভাঙড় (Bhangar)। জোটের স্বার্থে সিপিএম (CPM)-এর 'নমনীয়তা' দেখার মতো। আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ (Indian Secular Front-ISF)-কে একের পর এক বড় আসন ছেড়ে চলেছে বামেরা।

ভাঙড়ের আসনও আব্বাসকে ছাড়বে বামেরা, জোটের স্বার্থে বেনজির 'নমনীয়তা'
ছবি-ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Feb 24, 2021 | 9:07 PM

কলকাতা: নন্দীগ্রাম, জামুরিয়ার পর এ বার ভাঙড় (Bhangar)। জোটের স্বার্থে সিপিএম (CPM)-এর ‘নমনীয়তা’ দেখার মতো। এক দিকে কংগ্রেস (Congress) যখন মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় জেতা আসনগুলি ছাড়া নিয়ে দোটানায় ভুগছে। তখন সিপিএম পুরোপুরি মুদ্রার অন্য পিঠে বসে। কখনও আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ (Indian Secular Front-ISF), কখনও বা বঙ্গ রাজনীতিতে আনকোরা আরজেডি; শুধুমাত্র জোটের কথা ভেবে একের পর এক বড় আসন ছেড়ে চলেছে বামেরা।

সূত্রের খবর, আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে ভাঙড়ের আসন ছেড়ে দেবে বামেরা। সেখানে আব্বাসের ভাই তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি প্রার্থী হতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু গরিষ্ঠতা সুবিদিত। ফলে বামেদের এ হেন পদক্ষেপের কারণ আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন পড়ে না। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় বিধানসভা আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। তাঁর বিপরীতে সিপিএম-এর পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাশিদ গাজি।

বাম-কংগ্রেস জোটে আইএসএফ-কে শামিল করার মূল উদ্যোগ যে কার্যত বামেদের, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে আলিমুদ্দিনের ত্যাগের মনোভাব থেকেই। যদিও, বর্তমানে এই জোট এমন একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে যে দু-একদিনের মধ্যে গোটা বিষয়টা নিয়ে একটা হেস্তনেস্ত না করলেই নয়। কেননা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ রয়েছে বাম-কংগ্রেসের। তার আগে আসন ফয়সালা চূড়ান্ত হয়ে গেলে সেই সমাবেশে আব্বাসের উপস্থিতি বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে তিন পক্ষে। তাই জোট নিয়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে কংগ্রেসও।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের আসন আব্বাসকে ছেড়ে দিল বামেরা, ‘আত্মত্যাগ’ জোটের স্বার্থে

সূত্রের খবর, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ আসার পরই প্রদীপ ভট্টাচার্যর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন আব্দুল মান্নান। সেখান থেকেই দুই নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দুই বর্ষীয়ান নেতা অধীরকে ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে জোট প্রক্রিয়া শেষ করতে অনুরোধ করেন। দুই নেতার বক্তব্যে অধীর সায়ও দেন বলে খবর সূত্রের।

অন্যদিকে, ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে এ দিন মঞ্চস্থলে হাজির হন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। মঞ্চ কেমন হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে গেলে মঞ্চ কেমন ভাবে করতে হবে, তা দেখতে এদিন পৌনে পাঁচটা নাগাদ ব্রিগেডে যান সিপিএম নেতৃত্ব। তার আগে ব্রিগেড সমাবেশের ব্যবস্থাপনা আলোচনার জন্য বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ আলিমুদ্দিন যান মনোজ চক্রবর্তী-সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিপিএম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: আরজেডি-কে জেতা আসন জামুরিয়া ছাড়তে চলেছে বামেরা