Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আবেদনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে শঙ্কর ঘোষালের অ্যাকাউন্টে সাহায্য এল ৪০ হাজার টাকা

সব্যসাচী জানিয়েছেন, তাঁর সোশ্যাল পোস্টের ১২ ঘণ্টার মধ্যে শঙ্করবাবুর অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার টাকা এসেছে। বাড়িতে পৌঁছেছে এক মাসের খাবার। ওষুধের ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। তাঁর কাজের ব্যবস্থা হয়েছে।

আবেদনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে শঙ্কর ঘোষালের অ্যাকাউন্টে সাহায্য এল ৪০ হাজার টাকা
শঙ্কর ঘোষাল (বাঁদিকে), সব্যসাচী চৌধুরি (ডানদিকে)।
Follow Us:
| Updated on: May 01, 2021 | 7:43 PM

টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা (Actor) শঙ্কর ঘোষালের হাতে কাজ নেই। আর্থিক সঙ্কট চরমে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে হাতিবাগানের মতো জনবহুল এলাকায় গিয়ে সাহায্যের জন্য হাত পাততে হয়েছে তাঁকে। এই দুরবস্থার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরি (Sabyasachi Chowdhury)। তিনি এবং তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা শর্মা শঙ্করবাবুকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। কিন্তু প্রয়োজন অনেক। ফলে শঙ্করবাবুর জন্য সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। শেয়ার করেন অভিনেতার ব্যাঙ্ক ডিটেলস। আর তাতে ফল মিলল। শঙ্করবাবুর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বহু মানুষ।

সব্যসাচী জানিয়েছেন, তাঁর সোশ্যাল পোস্টের ১২ ঘণ্টার মধ্যে শঙ্করবাবুর অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার টাকা এসেছে। বাড়িতে পৌঁছেছে এক মাসের খাবার। ওষুধের ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। সব থেকে বড় কথা তাঁর কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। আসলে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার কাজের ব্যবস্থা করতে পারলেই তাঁকে যোগ্য সম্মান জানানো হবে বলে সব্যসাচীর প্রথম পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন বহু শিল্পী।

এই সাহায্য পেয়ে আপ্লুত শঙ্করবাবু। সে কথা জানিয়ে সব্যসাচী সোশ্যাল ওয়ালে লিখেছেন, ‘আমায় একটু লজ্জা করেই বললেন “সেই কত বছর আগে থিয়েটারে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম, ল্যান্ড লাইনে সে দিন প্রচুর ফোন এসেছিল। আর এত বছর পর এই আজ এল। যাদের কাছে আমি হাত জোর করে কাজ চেয়েছি একসময়, তারাও আজ ফোন করেছেন আমায়। আমি কোনওদিন ভাবিনি এতো মানুষ আমায় এখনও চেনে, এত ভালবাসে। তুমি আমার হয়ে একটু ধন্যবাদ জানিও দিও সবাইকে।”

সব্যসাচী আরও জানান, নিজের পাওনা টাকা থেকে শঙ্করবাবু ৩০০০ টাকা বাকিদের খাবার কিনে দেওয়ার জন্য তাঁকে দিয়েছেন। কাজের কথা শুনেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে বর্ষীয়ান অভিনেতার মুখ। তিনি সম্পর্কে অভিনেত্রী রত্না ঘোষালের দাদা। জানা গিয়েছে, রত্নাও দাদার কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তেমন কোনও ফল হয়নি।

সব্যসাচী আগেই জানিয়েছেন, অল্প বয়সে সলিল চৌধুরির হাত ধরে মুম্বই চলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু তিনি কলকাতা ছেড়ে যাননি। এখন সব্যসাচীর জন্য তাঁর পরামর্শ, সুযোগ পেলে যেন তিনি মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চলে যান। শঙ্করবাবু মনে করেন, কলকাতায় আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সম্মানটুুকুও নয়। সব্যসাচী লিখেছিলেন, তিনি তা করতে চান না। তিনি কলকাতায় থেকেই বদলাতে চান। কলকাতা যে সব্যসাচীর বিশ্বাসের অমর্যাদা করেনি, তার প্রমাণ শঙ্করবাবুকে পাঠানো সাধারণ মানুষের এই সাহায্য।

সব্যসাচী সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘শঙ্করদা… ১২ ঘন্টায় কলকাতা তোমায় ভুল প্রমাণ করে দিল। এক স্কুল পড়ুয়া ক্ষুদে আমায় ১১টাকা পাঠিয়েছে তোমায় দেওয়ার জন্যে, সে নিজেও জানে না তার মূল্য কতটা। আমার শহরের মাথা বিকিয়ে যেতে পারে শঙ্করদা, হৃদয় নয়।’

আরও পড়ুন, কাজ নেই, অস্ত্রোপচার আটকে! ‘শ্রীকৃষ্ণ’ ধারাবাহিকের অভিনেতা সুনীল নগরের আর্থিক দুর্দশা চরমে