তড়িঘড়ি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ছবির ঘোষণা! বিতর্কের মুখে কোন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন নির্মাতারা?
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অপারেশন সিঁদুর ইতিমধ্যেই ছবি হিসেবে ঘোষিত। যা নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাতা উত্তম মাহেশ্বরী প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করলেন।

ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু সন্ত্রাস হামলা, কিংবা সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে ছবি হয়েছে বহুবার। বলিউডের ফ্রেমে দেশপ্রেমের সেই ছবি, গর্বের সেনাদের সেই রুদ্ধশ্বাস পদক্ষেপ দর্শক মনে শিহরণ জাগিয়েছে বহুবার। তাই অপারেশন সিঁদুর যে তালিকা থেকে বাদ পড়বে না, তা অনেকেরই জানা ছিল। তবে এত দ্রুত সিদ্ধান্ত! বিষয়টা মোটেও ভাল চোখে দেখল না নেটপাড়া। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অপারেশন সিঁদুর ইতিমধ্যেই ছবি হিসেবে ঘোষিত। যা নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাতা উত্তম মাহেশ্বরী প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করলেন।
এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, এই সিনেমা তৈরি করার উদ্দেশ্য কখনও-ই কাউকে আঘাত করা বা বিতর্ক সৃষ্টি করা ছিল না। বরং এটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং দেশের নেতৃত্বের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের এক প্রচেষ্টা।
ছবির পোস্টারে দেখা যায় একজন মহিলা সেনার ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ডে যুদ্ধবিমান এবং বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্কের সূত্রপাত। সমালোচনার মুখে পরে মাহেশ্বরী ওই পোস্টার সরিয়ে ফেলেন। পাশাপাশি জানান, তিনি বুঝতে পেরেছেন যে এই সময় ঘটনার সংবেদনশীলতা কিছু মানুষের মনে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি লিখেছেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ছবি ঘোষণা করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এই চলচ্চিত্রের ভাবনা আমাদের সেনাবাহিনীর সাহস, আত্মত্যাগ এবং দেশের প্রতি নিষ্ঠা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে। এটি কোনওভাবেই খ্যাতি বা অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “এই সিনেমা কেবল একটি গল্প নয়, বরং গোটা জাতির আবেগ। আমি কৃতজ্ঞ আমাদের সেনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির প্রতি, যাঁরা দেশকে সর্বদা প্রথমে এগিয়ে রাখেন এবং দিনরাত কাজ করে আমাদের গর্বিত করেন।” তবে দ্রুত নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ করায়, নেটপাড়া বিতর্ক ভুলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।





